কুতুবদিয়া প্রতিনিধি
ধর্ষণের পর বীরদর্পে ঘুরে বাড়াচ্ছে ধর্ষক। মনে করেছে তার বিরুদ্ধে কেঊ মুখ খুলবে না। অবশেষে ধর্ষণের শিকার যুবতীর ভাই ধর্ষণের বিচার চেয়ে থানায় এজাহার জমা দিয়েছে। ঐ এজাহারের সূত্র ধরে ধর্ষক আজিজকে আটক করে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের আবদুল হাদি সিকদার পাড়ার আবদু ছালামের ছেলে আবদুল আজিজ কৈয়ারবিল ইউনিয়নের রোড পাড়ার নুরুল আলমের কন্যা ইয়াছমিন আক্তারের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে। ইতিমধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াছমিন আক্তারকে গত ১ মে সন্ধ্যা ভাগিয়ে নিয়ে যায়। ইয়াছমিন আক্তার সুপেয় পানি আনার কথা বলে কলসি নিয়ে তাদের এলাকার বায়তুশরফ মসজিদের নলকূপে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোজকন অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্থানীয় থানায় জিডি করে। গত ১৩ মে খবর পেয়ে ইয়াছমিন আক্তারের বড় ভাই মোহাম্মদ খোকন তার বোন কোথায় আছে নিশ্চিত হয়ে ৯৯৯ কল দিলে কুতুবদিয়া থানা পুলিশের এসআই আমিনুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গভীর রাতে তাবলরচর এলাকায় মোহাম্মদ বাদলের বাড়ি থেকে ভিকটিম ইয়াছমিন আক্তারকে উদ্ধার করে। ভিকটিমকে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হলে রোগীর ধর্ষণের আলামত দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। এ ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের বড় ভাই মোহাম্মদ খোকন বাদি হয়ে বাংলাদেশ দন্ডবিধি অপহরণ ও ধর্ষণের ধারা দিয়ে কুতুবদিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। ঘটনার সূত্র ধরে মূল হোতা ধর্ষক আবদুল আজিজকে আটক করে বলে কুতুবদিয়া থানার এসআই মনছুর মীর্জা নিশ্চিত করেন। এ রিপোট লেখা সময়ে খবর পাওয়া গেছে পারিবারিকভাবে উভয় পক্ষ বিয়ের ফয়সালায় বসতে যাচ্ছে বলে থানার সেকেন্ড অফিসার মনছুর মীর্জা নিশ্চিত করেন। তবে স্কুল সাটিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধনে মেয়ের বয়স ১৫ বছর। এজাহারেও মেয়ের বয়স লেখা হয়েছে ১৫ বছর।