কুকি-চিন নারী শাখার প্রধান গ্রেপ্তার

17

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল শুক্রবার বান্দরবান জেলার লাইমিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আকিম বমকে র‌্যাব-১৫ গ্রেপ্তার করে। বিকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসময় তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকি-চিনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বম। আকিম বম কেএনএফ বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলা অঞ্চলের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকিম বম বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আকিম ও মাইকেল সন্ধ্যা বেলায় পায়ে হেঁটে কেএনএফ’র ট্রেনিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা করে এবং পরবর্তী দিন ভোর পাঁচটার দিকে তারা রোয়াংছড়ির গহীন পাহাড়ি জঙ্গলের ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছায়। সেখানে একজন নারী কমান্ডারের সাথে তাদের পরিচয় হয় এবং ট্রেনিং সেন্টারে তাদের স্বাগত জানায়। আকিম বমসহ তাদের ব্যাচে ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিল। তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতো ৪-৫ জন এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য আলাদা সদস্য নিয়োজিত ছিল। র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাম্পে যোগদান করার কথা থাকলেও যৌথ অভিযানের কারণে কেএনএফ এর ক্যাম্পে যেতে পারেনি আকিম। পরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য রোয়াংছড়ি ও বান্দরবান সদর এলাকা থেকে সদস্য সংগ্রহের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় আকিমকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ নারীকে কেএনএফ সদস্য করতে সক্ষম হয় আকিম বম। তবে ৫০ জনের মত কেএনএফ এর নারী সদস্য রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।
এদিকে রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশের অস্ত্র লুট, মসজিদে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ১৫ সদস্যকে দুদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে তাদের ফের কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মো. নুরুল হক। বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রুমা থানার মামলায় ১২ জন ও থানচি থানার মামায় তিনজনসহ মোট ১৫ আসামিকে দুদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।