কিশোরীকে নিয়ে উধাও সেই যুবক গ্রেপ্তার

1

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়ায় এক কিশোরীকে নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার এবং মেয়েকে উদ্ধারের দাবিতে দীর্ঘদিন থানার ধারে ধারে ঘুরছিলেন এক পিতা। কিন্তু বিষয়টি আপোষ করে নিতে থানা পুলিশ ও প্রভাবশালী মহল তাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। এ নিয়ে থানার ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ওই কিশোরীর পিতা। এরপর ওসিকে প্রত্যাহার করে নিলে বিষয়টি রাঙ্গুনিয়াজুড়ে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম ইফতেখার হোসেন কাজল (২৪)। সে উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের হাফেজপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে। গত বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ইফতেখার হোসেন কাজলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৭/৩০ ধারা অনুযায়ী মামলা রয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম ১৩ বছরের কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চন্দ্রঘোনার বাসিন্দা অভিযুক্ত ইফতেখার ওই কিশোরী মেয়েকে পরিবারের অমতে নিয়ে উধাও হয়ে যান। পরে এক ভিডিও বার্তায় দুজনে প্রেম করে বিয়ে করেছেন বলে জানান। এতে মেয়ের মত থাকলেও নিজের নাবালিকা মেয়েকে ফিরে পেতে দীর্ঘদিন ধরে থানার ধারে ধারে ঘুরছিলেন ওই কিশোরীর পিতা উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের বাসিন্দা আহমুদুল হক। তিনি ইফতেখারের বিরুদ্ধে মামলা দিতে চাইলেও উল্টো আসামিপক্ষের সাথে আপোষ করতে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে তিনি রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে হওয়া একটি মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিষয়টি উল্লেখ করে বক্তব্য দিলে রাতে ওই ওসিকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই ঘটনায় তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নেন। কিশোরী মেয়ের পিতা মামলা দায়ের করলে তিনি অভিযুক্ত ইফতেখারকে গ্রেপ্তার করেন এবং কিশোরী মেয়েটিকেও উদ্ধার করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন পিতা আহমুদুল হক।