নিজস্ব প্রতিবেদক
হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ওই বন্দির নাম ফারজান হোসেন সজীব (৩৬)। তিনি নগরীর বকশিরহাট এলাকার রামজয় মহাজন লেনের বাসিন্দা মো. রফিকের ছেলে। তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক বন্দি ফারজান হোসেন সজীবকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে সজীবকে আটক করা হয়। পরদিন তাকে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সজীব একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। সর্বশেষ তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, বন্দি সজীব গত ২৭ মার্চ থেকে কারাগারের যমুনা ভবনের সাত নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন। শুক্রবার সকালে সজীব বুকে ব্যথা অনুভব করার কথা জানালে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। চিকিৎসকের প্রতিবেদনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সজীবের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে চমেক হাসপাতালে উপস্থিত সজীবের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, সকালে কারাগারের সেলে বন্দিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেখানে বেধড়ক পিটুনিতে সজীবের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে নির্যাতনের একাধিক চিহ্ন রয়েছে বলেও স্বজনরা দাবি করেন।
এ বিষয়ে জেল সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ শোনার পর কারাগারের যমুনা ভবনের সাত নম্বর সেলে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। সেখানে সকালে মারামারির কোনো আলামত বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অসুস্থ সজীব নিজের পায়ে হেঁটে কারা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এমনকি চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর গাড়ি থেকে নেমে তিনি হেঁটেই হাসপাতালে ঢুকেছিলেন। এরপর সেখানে তিনি মারা গেছেন।
