কাপ্তাই প্রতিনিধি
শীতের আগমন সাথে সাথেই কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় খেজুরের রস সংগ্রহের তোড়জোর শুরু হলেও আগের মত খেজুর আর দেখা যায়না এ অঞ্চলে। প্রায় ১৫-২০ বছর আগে সমতল এলাকার মত পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন উঁচু নিচু পাহাড়ের ঢালে দেখা মিলত অনেক খেজুর গাছের। কিন্তু বর্তমানে আগের মত আর খেজুর গাছের দেখা পাওয়া যায় না। কালক্রমে পার্বত্য এলাকা থেকে খেজুর গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। রাঙামাটি জেলাধীন কাপ্তাই উপজেলার ওয়া¹া ইউনিয়নের শিলছড়ি, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন ও চিংমরম ইউনিয়নের কিছু স্থানে অল্প কিছু খেজুর গাছ রয়েছে। এসব গাছে গাছিরা শীত আগমনের পর থেকেই রস সংগ্রহে খেজুর গাছ কাটা শুরু করেছে।
আলাপকালে ওয়া¹া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গাছি খোকন চন্দ্র নাথ জানান, বিগত ১৫ বছর যাবত গাছির কাজ করে আসছি। কাপ্তাই উপজেলায় প্রায় শতাধিক খেজুর গাছ ছিল। বয়স বৃদ্ধি ও ঝড়-তুফানের কারণে ওইসব গাছ মরে গেছে। বর্তমানে উপজেলায় মাত্র ৪০-৫০ টি খেজুর গাছ আছে। অনেকটা বিলুপ্তির পথে গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ। নতুনভাবে খেজুর গাছ লাগানোর আগ্রহ দেখা যায়না। তিনি জানান, যে কয়টি গাছ রয়েছে এক মাস আগে থেকে সেসব গাছের ডালপালা কেটে রস সংগ্রহের জন্য গাছকে উপযোগি করা হয়। এবং গাছের বুকের শুকনা অংশ কেটে রস বের করার জন্য গাছের কিছু অংশ পরিষ্কার করা হয়েছে। গাছ কেটে বাঁশের নাট ও খিল লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একমাস পর অর্থাৎ শীত আগমনের অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হবে। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছেন। তিনি বলেন, খেজুর গাছের তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয়না। খেজুরের বীজ যেখানে-সেখানে ফেললেই চারা গজায়। তাই খেজুরের বীজ লাগানোর আগ্রহ সৃষ্টি করা গেলে খেজুর গাছের বংশ বৃদ্ধি পাবে। নইলে এই অঞ্চল থেকে খেজুর গাছের বংশ একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।