কাপ্তাই প্রতিনিধি
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। রোববার (১ জুন) বেলা ১০টায় উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নতুনবাজার সংলগ্ন কেপিএম টিলার কার্গোর নীচে অতিবর্ষণের ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে ঘরের উপর পড়েছে। এতে মোঃ দানা মিয়া ও মনির হোসেন নামের দুই ব্যক্তির ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়কের মুরালী পাড়া এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে পড়া শুরু হয়েছে। কাপ্তাই-বড়ইছড়ি সড়কের আশেপাশেও মাটি ধসে পড়ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে জানমালের ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।
কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত থাকলেও সেখানে যেতে নারাজ ঝুঁকিতে বসবাসকারীরা। পাহাড়ের পাদদেশে ঝূঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না। ফলে দুর্ঘটনার আশংকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সবচেয়ে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার কাপ্তাই নতুন বাজারের ঢাকাইয়া কলোনীর বাসিন্দারা। বার বার তাদেরকে অনুরোধ করেও নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে পারছেন না জনপ্রতিনিধিরা। এদের অধিকাংশের ভাষ্যমতে বৃষ্টিপাত আরও বাড়লে তখন তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন। এর আগে নয়। এবিষয়ে কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা বারবার মাইকিং করে অনুরোধ করেও ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে পারছিনা। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। টানা বর্ষণ চলতে থাকলে পাহাড় ধসের ঝুঁকি আরো বাড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। ঝুঁকিতে বসবাসকারী বাসিন্দারা যাতে নিরাপদে চলে আসে সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে।