কান্নাকাটিতে ভোট আসবে না : কাদের

46

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কেঁদে ভোট চেয়ে কোনো লাভ হবে না। তিনি গতকাল বুধবার নিজের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাটে এক পথসভায় একথা বলেন। এই আসনে (নোয়াখালী-৫) ওবায়দুল কাদেরের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ অভিযোগ করে আসছেন, তাকে ভোটের প্রচার চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। খবর বিডিনিউজের
মওদুদকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘মানুষ কাজে বিশ্বাস করে। কান্নাকাটি বা চোখের পানিতে ভোট আসে না। মানুষ উন্নয়ন চায়, কাজ চায়’। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় তার নেত্রীর মুক্তির জন্য চোখের জলে ভোট চাইছেন। কাদের বলেন, ‘আমার প্রতিদ্ব›দ্বী মওদুদ সাহেব মিথ্যাচার করছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আসলে জনগণ তাকে চায় না বলে কোনো গণসংযোগেই তিনি বের হন না। তিনি নিজেকে নিজেই অবরুদ্ধ করে রেখেছেন’।
গত ১০ বছরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ দেখে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে বলে মনে করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন, তা করেন। তিনি কখনও ওয়াদার বরখেলাপ করেন না। উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনা আগামী ৩০ ডিসেম্ববরের নির্বাচনে অবশ্যই বিজয়ী হবেন। নেত্রী সরকার গঠন করলে প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। ২০২১ সালের মধ্যে কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না। আশ্রয়হীন অবস্থায় কোনো লোক ঘরের বাইরে থাকবে না। কোনো লোক গৃহহীন থাকবে না’।
‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘এটি তার নিজস্ব মতামত। নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় পাঁচজন নিয়ে। পাঁচ সদস্যের মধ্যে অধিকাংশের মতামতকেই সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা হয়’।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কবিরহাটের ফরায়েজী বাজার, টেকের বাজার, পশ্চিম দরাপনগর ও নূর সোনাপুরে পথসভায় বক্তব্য রাখেন কাদের। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রচারে কেউ বাধা দিলে তা প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেন নৌকার প্রার্থী কাদের। প্রচারে তার সঙ্গে ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সামছুদ্দিন সেলিম, কবিরহাঁ উপজেলা সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান, জেলা কমিটির সদস্য এ কে এম জাফর উল্যাহ, জেলা পরিষদ সদস্য আলাবক্স টিটু, সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম।