আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কাতারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭ বিমান গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে এটি ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য এটিকে দ্রুত প্রেসিডেন্টের ব্যবহার উপযোগী করতে এয়ার ফোর্সকে উপায় খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২২ মে) পেন্টাগন উপহার গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ প্রেসিডেন্টের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বিমানটি গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগ ‘নিরাপত্তা এবং কার্যকরী-মিশনের চাহিদাগুলো সুনিশ্চিত করতে কাজ করবে।’
বিদেশি সরকারের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ সংক্রান্ত আইনগুলো সম্পর্কে আইনি বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন। ডেমোক্র্যাটরাও এই হস্তান্তর ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন।
সিনেটের ডেমোক্রেটিক নেতা চাক শুমার বলেছেন, ‘আজ ইতিহাসের একটি অন্ধকার দিন। কারণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট একটি বিদেশি সরকারের কাছ থেকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘুষ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ প্রেসিডেন্সির মর্যাদায় একটি দাগ এবং এটি কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না।
কাতার বিমানচুক্তি নিয়ে উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্পও নৈতিক উদ্বেগকে তাচ্ছিল্য করে বলেছেন, ৭৪৭-৮ জেট গ্রহণ না করা ‘মূর্খতা’র শামিল।
নতুন অবস্থায় এই জেটের তালিকাভুক্ত মূল্য ছিল ৪০০ মিলিয়ন ডলার। তবে বিশ্লেষকরা বলেছেন, ব্যবহৃত ৭৪৭-৮ জেটের দাম এখন প্রায় এক-চতুর্থাংশ হতে পারে।
সিনেটর ডিক ডারবিন বলেছেন, বর্তমানে এই কাতারি বিমানটি টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিওতে রয়েছে।
বিমান বিশেষজ্ঞ এবং শিল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছেন, ১৩ বছর পুরোনো এই জেটকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গুপ্তচর প্রতিরোধী যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের সক্ষমতা যুক্ত করতে হবে। তবে এর অভ্যন্তরীণ অংশ অত্যন্ত বিলাসবহুল বলে স্বীকার করেছেন তারা।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর মাজি হিরোনো এবং ট্যামি ডাকওয়ার্থ বলেছেন, এই বিমানকে প্রেসিডেন্টের ব্যবহার উপযোগী করতে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হতে পারে এবং এটি ব্যাপক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে।