কাগতিয়া মাদ্রাসা আলোকিত মানুষ তৈরির প্রাণকেন্দ্র

1

নিভৃত পল্লীতে নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে অবিস্মরণীয় ভ‚মিকা পালন করছে কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এমএ মাদ্রাসা। খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) এ মাদ্রাসার প্রাণপুরুষের ভূমিকা পালন করেছেন। যিনি মাদ্রাসার উন্নতি অগ্রগতির জন্য সামর্থ্যরে সবটুকু উজাড় করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান অধ্যক্ষ সে ধারা বজায় রেখেছেন। পবিত্র হাদিস শরীফে বর্ণিত রয়েছে আল্লাহ তা’আলা যার দ্বারা কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। জাহের-বাতেন সমস্ত জ্ঞানের স্রোতধারা এ মাদ্রাসার মাঝে প্রবাহিত। একজন জ্ঞান অন্বেষণকারী শিক্ষার্থী এই মাদ্রাসার সংস্পর্শে এসে অমূল্য হয়ে উঠে। সুবিশাল অবকাঠামো, সুদৃঢ় একাডেমিক কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, অমূল্য সব কিতাবে ভরপুর দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার, মানসম্মত শিক্ষক প্যানেল, সহ-শিক্ষা কার্যক্রম সর্বোপরি হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর দোয়ায় এ মাদ্রাসাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। প্রতি বছর এ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ঈর্ষণীয় ফলাফল যার স্বাক্ষর বহন করে চলেছে। একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক-নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের জাগরণে এ মাদ্রাসার ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) নিজের জীবনের চেয়েও এ মাদ্রাসাকে বেশি ভালোবাসতেন। এরই পথ ধরে বর্তমান অধ্যক্ষও প্রাণ উজাড় করা ভালোবাসার নজির স্থাপন করেছেন। ফলশ্রুতিতে এ মাদ্রাসার সুনাম দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। কাগতিয়া কামিল এমএ মাদ্রাসা দ্বীনি শিক্ষার অনন্য আলোকবর্তিকা রূপে শিক্ষা বিস্তারে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান রূপে আবিভর্‚ত হয়ে সুনিবিড় শিক্ষা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে আলোকিত মানুষ গড়ার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলছে।
গতকাল শনিবার রাউজান মূল ক্যাম্পাস ময়দানে কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এমএ মাদ্রাসার ৮৯তম সালানা জলসায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর মহাসচিব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সালানা জলসায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ। বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক ও মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল। মিলাদ-কিয়াম শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি