চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘সিটি করপোরেশনকে সম্প্রসারিত করে ৪১ ওয়ার্ডের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি অংশ সিটি করপোরেশনের আওতায় আনার কাজ চলছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কর্ণফুলী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে বাস স্টেশন করার জন্য জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে জায়গা নির্ধারণের কাজ চলছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিকে পুনরায় চালু করলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।’
গতকাল শনিবার বিকালে চন্দনাইশ সদরস্থ কাসেম মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চন্দনাইশ উপজেলা, পৌরসভা, দোহাজারী পৌরসভা, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক ইফতেখার হোসেন ইফতু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বক্তব্যের শুরুতে ডা. শাহাদাত চন্দনাইশের মনিষীদের নামের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ কর্নেল অলিকেও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বিএনপি পালায় না, আওয়ামী লীগ পালায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পর তারা কেউ বঙ্গবন্ধুর জানাজা পর্যন্ত পড়েনি। ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার সাথে তাদের নেতাকর্মীরাও পালিয়েছে। সীমান্ত এলাকা থেকে বলছেন টুপ করে ঢুকে যাবেন। আমরা বসে থাকব না। বিগত ১৬ বছর ধরে হত্যা, গুম, মামলা-হামলা, নির্যাতন করেছে আওয়ামী লীগ। জুলাইয়ের আন্দোলনে তারেক জিয়া বিদেশ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সফলতা এনেছেন। অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে চন্দনাইশে বরুমতি খাল খনন করেছিলেন। সেখানে তার নামে একটি ফলক স্থাপন করা হবে। তারুণ্যের প্রতীক তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আগামীতে সাধারণ মানুষের মন জয় করে নির্বাচনে জয়লাভের মধ্যদিয়ে তারেক জিয়াকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। এখন বিএনপির বিরুদ্ধে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তাই সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
বিকাল ২টা থেকে সমাবেশস্থলে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার মিছিলে মিছিলে শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানটি বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মাঠে জায়গা না পেয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে অবস্থান করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ২০০৬ সালে বিএনপি থেকে কর্নেল অলি বেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম চন্দনাইশে বিএনপির বিশাল শো-ডাউন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি আবদুস ছালাম মামুন, বিএনপি নেতা এম এ হাশেম রাজু, জাহাঙ্গীর আলম, সিরাজুল ইসলাম, জসিম উদ্দীন, কামরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম রাহী। কমিটির সদস্য সচিব মঞ্জুর আলম তালুকদারের সঞ্চলনায় আলোচনায় অংশ নেন মহানগর বিএনপি নেতা গাজী সিরাজদ্দৌল্লাহ, বাদশা মিয়া, এডভোকেট মঈন উদ্দীন সোহেল, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, জসিম উদ্দীন, উপজেলা বিএনপি নেতা আবদুল মাবুদ মাহাবু, জাহাঙ্গীর আলম, নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম খাঁন, বাহাউদ্দীন চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম মারুফ, তরিকুল ইসলাম টুটুল, আবদুল মজিদ শাহ, কমর উদ্দীন, আবদুল মান্নান, সেলিম উদ্দীন, জিয়াউর রহমান জিয়া, শহিদুল ইসলাম, আবু তৈয়ব, আজম খাঁন, আবদুল আজিজ, আবদুল মান্নান, সেলিম উদ্দীন, হাসান মুরাদ, আবদুল করিম, সিরাজুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা আরফান চৌধুরী প্রমুখ।