কর্ণফুলী প্রতিনিধি
কর্ণফুলীতে অভিযান চালিয়ে ৪ শতাধিক দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গতকাল সোমবার দিনভর উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের পুরাতন ব্রিজঘাট ও মইজ্জারটেক মোড়ের কালারপোল রোডে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) নজরুল ইসলাম। এছাড়া এ সময় সিডিএ নির্মাণ বিভাগ-১ এর প্রকৌশলী, সিডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী ও সিএমপির পুলিশের বিশেষ দল অংশ নেন। সোমবার সকাল ১১ থেকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে পুরাতন ব্রিজঘাট বাজার থেকে শুরু হওয়া অভিযানে চেয়ারম্যানের পাকাপুল পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ৪ শতাধিক দোকানঘর গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিনা নোটিশে হঠাৎ করে সিডিএ এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে শত শত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেঁচে থাকার অবলম্বন ধ্বংস করেছে। অনেকে দোকানের মালামাল সরানোর সময় পায়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্রিজঘাট থেকে মইজ্জ্যারটেক পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার জুড়ে সিডিএর জমি আছে। কখনো অন্যান্য জায়গাতে অভিযান না হলেও কিছুদিন পরপর ব্রিজঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
পুরাতন ব্রিজঘাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহেদুর রহমান বলেন, এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে সিডিএ উচ্ছেদ অভিযান করলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাস্তার ওপর ঠেলায় বা ভ্যানে দোকানপাট ও কাঁচাবাজার বিক্রি করতেন। আবারো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আশ্রয়হীন করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মইজ্জারটেক মোড়ের কালারপোল রোডে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টির মত দোকানঘর গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজু হাসান জানান, সিডিএ’র অবৈধ জমি দখলদারদের তালিকা অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। অধিগ্রহণ করা ওই জমি সড়ক নির্মাণের পর অবশিষ্ট থেকে গেছে। এটা বাজারের কোনো খাসজমি নয়। ভবিষ্যতে সড়ক সম্প্রসারণ করার জন্য সংরক্ষণ করা ছিল এই জমিটি। তাই এই জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।