আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতালে চসিক এলাকায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চসিক চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব,চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। এ সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, ইনচার্জ ডা. ইসরাত জাহান, ডা. আশিষ কুমার মুখার্জী, ডা. নাছিম ভূঞা, কনসালটেন্ট ডা. দিদারুল মনির, ডাক্তার সুশান্ত বড়ুয়া, জেড এম ও ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. তপন কুমার চক্রবর্ত্তী, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা. মুজিবুল আলম চৌধুরী, ডা. সুমন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদিকা ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা মোবাইল ফোনে সরাসরি খোঁজ খবর নেন এবং দিক নির্দেশনা দেন। সভাপতির বক্তব্যে ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী চসিক ডাক্তারদের উদ্দেশ্য করে বলেন,করোনা ভাইরাসের তদারকীর সকল দায়-দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে সিটি মেয়রকে সভাপতি এবং চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। তাই চট্টগ্রাম নগরীর দায়িত্বটা আমাদেরকে যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে। কোন রোগী যাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে না হয়, সে বিষয়ে সকল চিকিৎসককে দায়িত্ববান হওয়ার আহŸান জানান ডা. সেলিম। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন এই করোনা ভাইরাসের দেখভাল করার জন্য মোবাইল টিম রয়েছে। যদি কাউকে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের হাত থাকবেনা বলে তিনি সকলকে হুশিয়ারি করেন। তিনি বলেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হেলথ সেন্টার রয়েছে। এই সেন্টার সমূহে মেডিকেল অফিসারগণ রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করবে। নগরীর কোনো ব্যক্তির সর্দি, জ্বর, কাশি দেখা দেয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সাথে সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত হেলথ সেন্টার, মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল ও চসিক জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করার পরামর্শ দেন ডা. সেলিম। এ সব রোগীর ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারনটাইনে নেওয়া হবে না। তাদের নাম,ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর এবং ইতিহাস লিখে হোম কোয়ারনটাইনে পাঠানোর পরামর্শ ডাক্তার সেলিমের। তবে কোনো চিকিৎসক করোনা ভাইরাস সংক্রমক হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারনটাইনে নেওয়া হবে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারনটাইনে নেওয়ার জন্য বর্তমানে চট্টগ্রামে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩ টি হাসপাতাল। এ গুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, ফৌজদারহাট বিআইবি আইডি ও রেলওয়ে হাসপাতাল এর বাইরে প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল। এছাড়া পরীক্ষা নিরীক্ষায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন নিশ্চিত হলে এবং আইসুলেশন এর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। এ লক্ষে চমেক হাসপাতালে ৪টি আইসিইউ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি