শফকত হোসাইন চাটগামী, বাঁশখালী
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর নতুন কমিটিতে পদ পেতে জোর তৎপরতা ও লবিং শুরু করেছে বাঁশখালীর বেশ কয়েকজন নেতা। পাশাপাশি তাদের নিজ নিজ কর্মী-সমর্থকরাও ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয় নেতাকে ‘সভাপতি হিসেবে চাই’ কিংবা ‘সেক্রেটারি পদে চাই’সহ নানা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সরগরম রেখেছে আলোচনার মাঠ।
সম্প্রতি এস. আলমের ‘গাড়িকান্ডের’ ঘটনায় আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এছাড়া তিনিসহ জেলার শীর্ষ ৩ নেতার দলীয় সব পদ-পদবী স্থগিত করা হয়। এরপরই আলোচনায় আসে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি নবায়নের বিষয়টি। ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলার পাশাপাশি বাঁশখালীর বেশ কয়েকজন নেতা সভাপতি, সেক্রেটারি বা আহব্বায়ক, সদস্য সচিবসহ শীর্ষপদ পেতে তদবির, লবিং ও তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
তাদের মধ্যে বাঁশখালীর সাবেক পৌর মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী ও গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর পক্ষে স্ব স্ব সমর্থকদের বেশ সরব দেখা যাচ্ছে। এছাড়া সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মুহসিন, প্রবীণ বিএনপি নেতা শাখাওয়াত জামাল দুলাল, সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল, মরহুম আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর দুই সন্তান জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর ও মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পাসহ আরও কয়েকজনের নাম আলোচনা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, শীঘ্রই দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি নবায়ন হতে পারে। সেখানে বাঁশখালীর বেশ কয়েকজন নেতা শীর্ষপদ লাভের চেষ্টা করছেন। কোন কারণে সভাপতি, সম্পাদক বা আহব্বায়ক, সদস্য সচিব পদ না পেলেও আলোচিত নেতারা জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন- এটা অনেকটাই নিশ্চিত। তাদের মধ্যে ইফতেখার মুহসিন, সাখাওয়াত জামাল দুলাল, কামরুল ইসলাম হোসাইনী ও লেয়াকত আলী আগেও একাধিকবার দক্ষিণ জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সাবেক ছাত্রদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার শাহনেওয়াজ চৌধুরী জানান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটিতে এবার গুরুত্বপূর্ণ পদে বাঁশখালীর নেতারাই আসবেন, এমন প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের। বিশেষ করে সভাপতি ও সেক্রেটারি পদের যে কোন একটিতে বাঁশখালীর যে কোন একজন স্থান পাবেন বলে আমরা আশা করি।
এ বিষয়ে বাঁশখালীর সাবেক পৌর মেয়র ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোসাইনী জানান, আমার কাছে পদ বড় কথা নয়, দল ও দেশের জন্য কাজ করতে পারাটাই হচ্ছে বড় কথা। তাই আমি বলতে চাই, দল যেটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, আমরা সেটা মেনে নেব। তিনি বলেন, দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে যে কোন নেতাকর্মীর চাওয়া-পাওয়া থাকতে পারে। অনেকেই আমাকে পছন্দ করে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের আশা-আকাক্সক্ষার কথা প্রকাশ করছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী জানান, আমি বিগত দিনে জেল, জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছি। নেতাকর্মীরা সেজন্য আমার অজান্তে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আশা করি দল নেতাকর্মীদের চাওয়া এবং আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করবে।