নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণা ও জাল নথিপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এতে প্রায় ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বুধবার (২১ মে) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সদস্যরা চালানটি খোলার পর এ চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে কমলালেবুর নামে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে একটি চালান আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চালানটির ৪০ ফুটের একটি কনটেইনার তল্লাশি করে অস্কার ও ল্যামার ব্যান্ডের ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।
তিনি জানান, কমলালেবু আমদানিতে করের হার ৯০ শতাংশ। আর সিগারেটের ক্ষেত্রে এই হার ৩২০ শতাংশ থেকে ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। মূলত রাজস্ব ফাঁকির উদ্দেশ্যে কমলালেবুর মিথ্যা ঘোষণা এবং জাল নথিপত্র ব্যবহার করে এসব সিগারেট আমদানি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ কোটি ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তদন্তের পর এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাস্টমসের নথি অনুযায়ী, ঢাকাভিত্তিক আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান আহসান কর্পোরেশন গত ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি চালানে কমলালেবুর কথা ঘোষণা করেছিল। আমদানিকারকের পক্ষে পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেড।
কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানান, বন্দর থেকে পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দাখিল করা নথিপত্র জাল বলে সন্দেহ হয়। পরে একটি দল সরেজমিনে পরীক্ষা করে সিগারেটের কন্টেইনারটি খুঁজে পায়।
বিধি অনুযায়ী, যদি সিগারেটের গুণমান সঠিক পাওয়া যায়, তবে চালানটি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের কাছে বিক্রি করা হবে। অন্যথায়, আইন অনুযায়ী এটি ধ্বংস করা হবে বলে তিনি জানান।