কনের বাবার মুুচলেকায় বন্ধ বাল্যবিয়ে

1

চকরিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের নির্দেশে কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেন চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম। এসময় মুচলেকা নেয়া হয় মেয়ের বাবার কাছ থেকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।বিয়ের পিড়িতে বসানো ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে চকরিয়া আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামনগর মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আলিফা জান্নাত তারিনকে (১৫) তার পরিবার জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীর এলাকার এক প্রবাসীর সঙ্গে। বিয়ে উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার কনের বাড়িতে চলছিল অনুষ্ঠানের আয়োজন। দুপুরের মধ্যে বরপক্ষের লোকজন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছার কথা ছিল। এরই মধ্যে বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলামকে কনের বাড়িতে গিয়ে এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ইউএনও’র নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা পেযে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. এনামুল হক, চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম নিয়ে কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় মেয়ে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত আর বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন মেয়ের বাবা।
ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান রহমান বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বিয়ের অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হয়েছে। এ সময় মেয়ের বাবা তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দিবেন না মর্মে একটি অঙ্গিকারনামাও প্রদান করেন।
ইউএনও আরও বলেন, মেয়ের পরিবার বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে সচেতন না থাকায় অনেকটা লোভে পড়ে প্রবাসি যুবকের সঙ্গে অল্প বয়সে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে দিচ্ছিলেন।