কথাসাহিত্যিক লেখক আহমদ ছফা

0

রশীদ এনাম

“ঘর করলাম নারে আমি সংসার করলাম আউল বাউল ফকির সেজে আমি কোনো ভেক নিলাম না”
“মাঝে মাঝে ভাবি চাষারা লাঙলের মুঠি ধরে দেশটা টিকিয়ে রেখেছে, নয়তো অসাধু আমলা, দুর্নীতিবাজ, রাজনীতিক এবং ফটকা ব্যবসায়ীরা দেশের সমস্ত মাটি মণ মেপে বিদেশে চালান দিত”(গাভি বৃত্তান্ত)- “আমরা এমন এক যুগে বাস করছি, যখন রক্ত দিয়েই চিন্তা করাতে বাধ্য হচ্ছি। চারদিকে এত অন্যায়, অবিচার, এত মূঢ়তা ও কাপুরুষতা ওঁৎ পেতে আছে যে, এ ধরনের পরিবেশে নিতান্ত সহযে বোঝা যায় এম কথাও চেঁচিয়ে না বললে কেউ কানে তুলে না(বৃুদ্ধবৃত্তির নতুন বিন্যাস) কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফার উক্তিগুলো হৃদয় স্পর্শ করে।
লেখক আহমদ ছফা ১৯৪৩ সালের ৩০ জুন চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হেদায়েত আলী ওরফে ধন মিয়া পেশায় একজন কৃষক এবং মাতা আসিয়া খাতুন। দুই ভাই চার বোনের মধ্যে আহমদ ছফা ছিলেন দ্বিতীয়।
লেখক আহমদ ছফা দক্ষিণ গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী সম্পন্ন করে গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে হতে ১৯৫৭ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বোয়ালখালী কানুনগো পাড়া স্যার আশুতোষ কলেজেও স্নাতকে কিছুদিন পড়াশুনা করেন। পরীক্ষা বর্জন করে শেষে ১৯৬৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অনার্স অধ্যয়ন ও পরীক্ষা বর্জন। ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করে পরবর্তীতে জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্যারের তত্ত¡াবধানে পিএইচডি গবেষণা (অসম্পূর্ণ) জার্মান ভাষা ডিপ্লোমা করেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে স্বল্পকালের জন্য অধ্যাপনাও করেন। ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি শুরু। ছাত্র ইউনিয়ন ও কৃষকসমিতি ও কমিউনিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। কৃষক আন্দোলন সংগঠনে থাকাকালীন সময়ে কারাবরণও করেছিলেন। দৈনিক গণকণ্ঠ ও সাপ্তাহিক উত্তরণ, উত্থান পর্বে নিয়মিত লিখতেন। উত্থান পর্বের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন লেখক নিজেই। উত্তরণের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। লেখালেখি ও সম্পাদনায় স্বচ্ছতা ও সাহসী ও স্পষ্টবাদিতায় সাংবাদিক মহলে বাংলাদেশের উজ্জ্বল এক দীপ্তিমান মেধাবী লেখক আহমদ ছফা। তিনি বাংলাদেশ লেখক শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলা জার্মান সম্প্রীতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
লেখক আহমদ ছফা অর্ধশাতাধিক বই রচনা করেছেন তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ “বরুমতির আঁকেবাঁকে”। প্রবন্ধসমুহের মধ্যে আছে জাগ্রত বাংলাদেশ, বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস, বাংলা ভাষা, রাজনীতির আলোকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতা, বাঙালি মুসলমানের মন, শেখমুজিবুর রহমান ও অন্যান্য প্রবন্ধ, রাজীতির লেখা, নিকট দূরের প্রসঙ্গ, সংকটের নানা চেহারা, সাম্প্রতিক বিবেচনা, বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস, শান্তিচুক্তি ও নির্বাচিত প্রবন্ধ, বাঙ্গালি জাতি এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্র, আমার কথা ও অন্যান্য প্রবন্ধ, সেই সব লেখা ইত্যাদি, উপন্যাস লিখেছেন অনেকগুলো ‘সূর্য তুমি সাথী’, ‘উদ্ধার’, ‘একজন আলী কেনানের উত্থান পতন’, ‘অলাতচক্র’, ওঙ্কার, গাভীবৃত্তান্ত, অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ^রী, পুষ্পবৃক্ষ ও বিহঙ্গপুরাণ, নিহত নক্ষত্র, কবিতার বই ও লিখেছেন, জল্লাদ সময় ও দুঃখের দিনের দোহা, একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা, লেনিন ঘুমাবে এবার, আহিতাগ্নি, এছাড়াও কিশোর গল্প ও শিশুতোষ ছড়া, ভ্রমণকাহিনি লোকজন ভাষার ব্যবহার, পুঁথিপুরাণের শব্দ প্রয়োগ ও বাক্যরীতির সঠিক চয়নে, অনুবাদ করেছেন জার্মান কবি গ্যোতের গুতের ফাউস্ট ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা।
আহমদ ছফার লেখা উপন্যাস , গল্প এবং প্রবন্ধগুলো যারা গভীর ভাবে পড়েছে সত্যিকারের পাঠক হলে তাঁর সম্পর্ক জানার পিপাসা আপনাকে পেয়ে বসবে। লেখক আহমদ ছফা একাধারে বইপ্রেমী, প্রকৃতি প্রেমী এবং একজন সত্যিকারের মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ষাটের দশক আহমদ ছফা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে সময় এক ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছিল ঢাকায়। পুরান ঢাকার এক হিন্দু বাড়ি পাহাড়া দেয়ার জন্য এক বন্ধুর সাথে সেই বাড়িতে গিয়েছিল ছফা। সারারাত জেগে ছিলেন সেই বন্ধুর আত্মীয়ের বাড়ি পাহারা দিয়েছিলেন।
আহমদ ছফা শুধু লেখালিখি গবেষণা বা শিক্ষকতা থেমে থাকেনি, মানবিক মানুষ হিসেবে শিল্পীর প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। নিজেই লেখক ও চিত্রশিল্পীকে জনসমক্ষে উপস্থাপন করেছেন নান্দনিকভাবে। নড়াইলের চিত্র শিল্পী এসএম সুলতানের আঁকা ছবি প্রদর্শনী থেকে শুরু করে প্রচার সবকিছু করেছেন।
গল্প জাদুকর লেখক হুমায়ুন আহমেদ কে তাঁর জিয়ন কাঠির আলোতে উদ্ভাসিত করেছেন। হুমায়ুন আহমেদকে বিভিন্ন সময়ে লেখালিখির জন্য পরামর্শ অনুপ্রেরণা দিতে কৃপণতা করেনি। লেখক হুমায়ুন আহমেদের প্রথম উপন্যাস “নন্দিত নরকে” পান্ডুলিপি নিয়ে নিজে প্রকাশকের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন। নতুন লেখকের বই বলে কথা, কেউ ছাপাতে রাজি হননি। আহমদ ছফা নিজে উদ্যেগ নিয়ে খান ব্রাদার্স এন্ড কোং প্রকাশককে বুঝিয়ে বলে “নন্দিত নরকে” বইটি প্রকাশের দায়িত্ব অনেকটা কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। বইটি প্রকাশের পর তিনি নিজেই বইটি মানুষের প্রচারের জন্য পাঠক ও জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন। লেখক হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন, “নন্দিত নরকে বই আকারে প্রকাশের সব ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছেন। সাহিত্যের কঠিন মাটিতে আমাকে শক্ত করে দাঁড়া করিয়ে দিয়ে তিনি দূরে সরে গেছেন”। শুধু তাই নয়, আহমেদ ছফা ছিলেন লেখক হুমায়ুন আহমেদ পরিবারের একজন সদস্যর মতো ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একাত্তরের শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী শহীদ জায়া আয়েশা ফয়েজ ও তাঁর সন্তানদের বাবর রোডের বাসা থেকে রক্ষীবাহিনীরা কম্বল, হাঁড়ি-পাতিলসহ বের করেদেন। সবাই রাস্তায় রাতভর বসে রইলেন । পরদিন খবর পেয়ে লেখক আহমদ ছফা কেরোসিনের টিন নিয়ে আগুন্তকের মতো হাজির, প্রতিবাদ করে বললেন, “শহীদ পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে জ্ঞানীর কলমের চেয়েও পবিত্র রক্তকে অবমাননা করা হয়েছে। অপমান করা হয়েছে স্বাধীনতা ও জাতির আত্নদানের গৌরবমন্ডিত ঐশ^র্যকে” রেগে অগ্নিশর্ম প্রতিবাদ করার জন্য লেখক হুমায়ুনকে নিয়ে গণভবনে যাবেন, শহীদ পরিবারকে অপমান করার দায়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্নহুতি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন এবং খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে, কবি সেকান্দার আবু জাফর এসে আহমদ ছফাকে ধমক দিয়ে বললেন, শহীদ পরিবারের জন্য একটা ব্যবস্থা করবেন। পরবর্তীতে লেখক হুমায়ুন পরিবার আগের বাসায় ওঠার সুযোগ পেলেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তরুণ কবি আবুল হাসানের ভর্তি হওয়ার জন্য টাকা ছিল না খবরটি শুনা মাত্র লেখক আহমদ ছফার নিজের লেখা বইয়ের রয়্যালিটি টাকা কবি আবুল হাসানকে দিয়ে দেন। তরুণ কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লা আলসারে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করেন। কবি নির্মলেন্দ গুণকে একবার আর্মিরা গ্রেফতার করেন লেখক ছফা খবরটি শুনা মাত্র রমনা থানায় গিয়ে নির্মলেন্দু গুণকে মুক্তির জন্য থানার ওসির সাথে বাকবিতন্ডা করেন এবং একসময় কবি নির্মলেন্দ গুণ ছাড়া পান। কবি অসিম সাহাকে এম এ পরীক্ষা দেয়ার সময় ভালোবাসা হাত বাড়িয়েছেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ডক্টর নাজমা শাহীনের বিয়েতে তিনি আর্থিক সহযোগিত করেছেন।
এরকম অনেক লেখক কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবিদেরকে তিনি নানা সময়ে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
লেখক আহমদ ছফা যে শুধু লেখক দার্শনিক কথাসাহিত্যিক ছিলেন না তিনি ছিলেন মহৎ ও পরোপকারী। তিনি প্রায়ঃশ নিষ্পেষিত মানুষের প্রতি ভালোবাসা হাত প্রসারিত করেগেছেন। ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে অনেকের বাড়ি ঘর বিলীন হয়েছিল। সে সময় লেখক আহমদ ছফা বাংলা জার্মান সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠানের আর্র্থিক সহায়তায় প্রায় একশত ঘর পুননির্মাণ করে দিয়েছিলেন। এছাড়াও গ্রামের দরিদ্র ও গরিব ছাত্র এবং আত্নীয় স্বজনের জন্য তিনি মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন আত্নীয় স্বজনের পড়া লেখার খরচের জন্য নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। সত্যি সেসময়ে জন্য এটা ছিল মহৎ ও পরোপকারীর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের লেখক আহমদ ছফার। বাংলাদেশে লেখক আহমদ ছফার মতো মানবিক মূল্যেবোধ সম্পন্ন সাহসী ও স্পষ্টবাদী লেখক পাওয়া বড়ো দুস্কর। তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। মানবিক সাহিত্যের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকুক কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখে গেছেন লেখক আহমদ ছফা। মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “মৃত্যু হলো শোকের চেয়েও প্রয়োজনীয়, মৃত্যু জীবিতদের জন্যে স্পেস সৃষ্টি করে। মৃত্যু সৃষ্ট জীবের কলুষ কালিমা হরণ করে, মৃত্যু জীবনকে শুদ্ধ এবং পবিত্র করে”। জীবনের প্রতি কোন মায়া ছিল না। নিয়ম কানন মানতেন না,খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করতেন না। ২০০১ সালে ২৮ জুলাই বাংলাদেশের সক্রেটিস খ্যাত কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা সবাইকে কাঁদিয়ে চিরতরে প্রস্থান নেন। সাহিত্য জগতের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র বিচিত্র দার্শনিকের শেষের ঠিকানা হলো মিরপুর কবরস্থানের ব্লক ক, ২৮ লাইন ১০৮৫ নং সাড়ে তিন হাত মাটির কুটিরে শুয়ে আছেন। তাঁর কবরের নকশা করেছিলেন শিল্পী রশীদ তালুকদার এবং সমাধির ইট ক্রয়ের টাকা দিয়েছিলেন সিলেটের ওবেইদ জায়গীরদার। লেখক ছফার সমাধিটি এতো সুন্দর লাল টালি ইটের ঘেরা মাঝখানে সবুজ দুর্বাঘাসের চাদর পাশে কামিনি ফুলের গাছ দেখে মুগ্ধ হলাম। ভাবলাম দেশের মানুষ প্রকৃতিপ্রেমি স্পষ্টবাদী লেখক ও বু্িদ্ধজীবীকে চিনতে না পারলেও প্রকৃতি ঠিকই চিনেছেন। প্রকৃতি তাঁর নিজস্ব তুলি দিয়ে সমাধিটি যেন সাজিয়েছেন। সমাধির এপিটাপে যখন ঝাপসাচোখে পড়ছিলাম-
“আমার কথা কইবে পাখি করুণ করুণ ভাষে
আমার দুঃখ রইবে লেখা শিশির ভেজা ঘাসে
আমার গান গাইবে দুঃখে পথ হারানো হাওয়া
আমার নাম বলবে মুখে মেঘের আসা যাওয়া
ইন্দ্রধনু লিখবে লিখন কেমন ভালোবাসে
দীঘল নদী করবে রোদন সমাধিটির পাশে”-লেখক আহমদ ছফা।
চোখের কোণে কখন যে জল গড়িয়ে পড়লো টেরও পায়নি- বর্তমান প্রজন্মের দাবি একটাই কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফাকে যেন মরণোত্তর বাংলা একাডেমি পদকসহ যথাযথভাবে মূল্যায়ন ও সম্মাননা দেওয়া হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাহিত্যিক আহমদ ছফার নামে আজো তাঁর গ্রামে কোন স্মৃতি সংরক্ষণ করা হয়নি। অথচ জার্মানির ভেৎসলার শহরের মহাকবি গ্যোটের স্মৃতিবিজড়িত শহরে আহমদ ছফার নামে কিয়স্কটি (পানশালার) নামকরণ করা হয়েছে এটা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য আনন্দেরও বটে। সাহিত্যিক আহমেদ ছফাকে জার্মানিবাসী স্মরণ করে রেখেছে ঠিকই কিন্তু আমাদের দেশে তাঁর কোন স্মৃতি রাখেনি।
লেখকের ৮২তম জন্মবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় এবং চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের প্রতি সবিনয় নিবেদন আহমদ ছফা স্মৃতিবিজড়িত গাছবাড়িয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাগার স্থাপন, সড়কের নামকরণসহ ও চট্টগ্রামে আহমদ ছফার নামে দক্ষিণ গাছবাড়িয়ার সাহিত্যপাড়ায় “ আহমদ ছফা একাডেমি” স্থাপন করার জোড় দাবী জানাচ্ছি।

লেখক : প্রাবন্ধিক