আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোতে প্রেসিডেন্ট বিরোধী বিক্ষোবে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা দেশটির একটি ইবোলা সেন্টারে হামলা চালিয়েছে। বেনি শহরের পূর্বাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। কঙ্গোতে বর্তমানে ইবোলা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিদ্রাহীদের কারণে অনেক স্থানে জাতিসংঘ সহায়তা দিতে পারছে না। কঙ্গোয় এখন পর্যন্ত ৩১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। দেশটিতে ইবোলার কারণে নির্বাচনও পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিরোধীদলের অভিযোগ, সরকার ভোট বানচালের কারণে এই চেষ্টা করেছেন। বেনিসহ বুতেম্বো ও ইউম্বি শহরে আগামী মার্চ পর্যন্ত ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।
জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার উত্তরসূরী শপথ নেবেন। তবে এতে করে ১০ লাখেরও বেশি ভোট বাতিল গতে পারে। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কাবিল দাবি করেন, চূড়ান্ত ফলের পরও ভোট পিছিয়ে দেওয়া আইনসম্মত।
তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আিইনের সমর্থন রয়েছে। আমার মনে হয় না আপনি যেই ১০ লাখ ভোটের কথা বলছেন তা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে।’ প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার পদত্যাগের দাবিতে প্রায়ই বিক্ষোভ হয়। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও দায়িত্ব ছাড়েননি কাবিলা। এজন্য তাকে পদ থেকে নামানোর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। এতে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ২০০৯ সালে কঙ্গো অঞ্চলে এনিলি আদিবাসী গোষ্ঠীর বিদ্রোহে সংঘাত শুরু হয়। এ পর্যন্ত সেখানে সংঘাতে শত শত মানুষ নিহত ও প্রায় ২ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছেন।
২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তখন বেশি আক্রান্ত হয়েছিল গিনি,সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া। ২০১৪ সালে কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ বছরের জুলাই মাসে কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ১৯৭৬ সালে প্রথম শনাক্ত হওয়ার এর চলতি বছর দশমবারের মতো কঙ্গোয় ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ঘটনা ঘটেছে।