পূর্বদেশ ডেস্ক
কক্সবাজার শহরে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে অপহরণ ও ছিনতাইকারী চক্রের ‘টর্চার সেলে’র সন্ধান পেয়েছে র্যাব। যেখান থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান। খবর বিডিনিউজের।
আটকরা হলেন, কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার বান্টু দাশের ছেলে উজ্জ্বল দাশ (২৮), একই এলাকার মৃত বিমল দে-র ছেলে উৎপল দে (২৯), মৃত দুলাল ধরের ছেলে বিধান ধর (৩০) এবং কাজল রুদ্রের ছেলে অন্তর রুদ্র (২২)।
কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার শহরের পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ের পরিত্যক্ত একটি ঘরকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে দুর্বৃত্তদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি-অপহরণ, ছিনতাই ও মুক্তিপণ আদায় করার খবর পায় র্যাব।
র্যাব অপরাধী চক্রটিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে সোমবার মধ্যরাতে অপরাধী চক্রের কতিপয় সদস্য আস্তানায় অবস্থান করার খবরে র্যাবের একটি সেখানে দল অভিযান চালায়।
র্যাব সদস্যরা সন্দেহজনক আস্তানাটি ঘিরে ফেললে ছয়-সাত জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে র্যাব চারজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আস্তানাটি তল্লাশী চালিয়ে একটি কিরিচ দা, তিনটি ছোরা, দুটি প্লাস্টিকের লাঠি, একটি লম্বা রশি ও তিনটি চোরাই মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
আটকদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাতে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে মোবাইল ও নগদ টাকা লুট এবং জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করত।
ক্ষেত্রবিশেষে পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ের পরিত্যক্ত ঘরটিকে তারা আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করত। যেখানে জিম্মিদের আটকে নির্যাতন চালিয়ে আদায় করত মুক্তিপণ।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।