ওয়াসিমসহ শহীদদের নামে রাস্তার নামকরণ দাবি

1

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, শেখ হাসিনা এক সময় গর্ব করে বলেছিল, আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা পালায় না। তাহলে ৫ আগস্ট কেন পালাতে হল? রান্না করা খাবার পর্যন্ত কপালে জুটে নাই। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে গুম, খুন ও দুঃশাসনের বিচার হয়েছে। এখন খুনি হাসিনাসহ যে সকল ব্যক্তিগণ গণহত্যার সাথে জড়িত তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ। যে সকল ছাত্র জনতা আওয়ামী বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। ছাত্রজনতা হত্যার বিচার না করলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম ছাত্রজনতার আন্দোলনের প্রথম শহীদ। তাই চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বিসহ শহীদদের নামে রাস্তার নামকরণের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে কাজীর দেউরী মোড়ে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য এবং রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনের বিচারের দাবিতে ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বি স্মৃতি সংসদ’ চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে বারবার গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এরকম দুঃসাহস না দেখায় সেজন্য উপযুক্ত বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাহলেই ওয়াসিম আকরাম সহ শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।
স্মৃতি সংসদের আহব্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেলের সভাপতিত্বে ও এড. জায়েদ বিন রশিদ ও মহসিন কবির আপেলের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। এসময় নাজিমুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আইন বলে কিছু ছিল না। আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা সারা বিশ্বের কাছে ঘৃণিত হয়েছে এবং সারা বিশ্ব এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও বিভিন্ন মহলের সাথে মিশে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তাই এখন একটি আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই গণহত্যার বিচার করতে হবে।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন। বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মোবিন, শওকত আজম খাজা, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ঢেপটী, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর হোসাইন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, শহিদ তানভির ছিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি শফিউল্লাহ রাজু ও কামরুল হাসান শতাব্দী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি