ওপারে যুদ্ধ বিমানের চক্কর বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ

1

পূর্বদেশ ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ বিমানের চক্কর দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বিস্ফোরণে বিকট শব্দে এ পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক সপ্তাহ বিরতির পর মিয়ানমারের মংডু শহর ঘিরে সোমবার থেকে ভেসে আসা বিস্ফোরণের শব্দ গতকাল মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্তের বাসিন্দারা। খবর বিডিনিউজের।
সীমান্তের লোকজন জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা না গেলেও রাত ১টা থেকে আবারও শুরু হয় বিকট শব্দ; যা গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ সময় মাঝে-মধ্যে আকাশে যুদ্ধ বিমান চক্কর দিতেও দেখা গেছে; সেই সঙ্গে ভেসে আসছে বিকট শব্দ। এতে কাঁপছে টেকনাফের সীমান্ত এলাকাও। এ ছাড়া রাখাইনে সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
আরাকান আর্মি (এএ) মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠীর একটি সশস্ত্র বাহিনী। তারা রাখাইনের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করছে।সীমান্তের বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্য মতে, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাং এর পূর্বে নাফ নদীর ওপারে মংডু শহরের অবস্থান। এটি টানা সংঘাতে এখন দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে থাকার খবর শোনা গেছে।
এলাকাটি পুনর্দখলের জন্য মিয়ানমারের সেনারা বিমানযোগে হামলা চালাচ্ছে। এতে ওপারের রোহিঙ্গাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। এ ছাড়া নাফ নদী হয়ে মংডু শহরের প্রবেশপথ খায়েনখালী খালের মোহনায় রোহিঙ্গাদের জড়ো হওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোছাইন জানান, এক সপ্তাহ পর সোমবার থেকে ফের আগের মতো বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে। এখন তা আরও বিকটভাবে শোনা যাচ্ছে। ওপারে যুদ্ধ বিমান থেকে বোমা বর্ষণের ফলে টেকনাফের ঘর-বাড়িও কাঁপছে।
আগের তুলনায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা অনেকটা কমেছে দাবি করে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ার কারণে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা রোহিঙ্গাদের প্রতিহত করা হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।