পূর্বদেশ ডেস্ক
সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘বৃহত্তর সমঝোতা’ হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বিএনপির তৃতীয় দিনের আলোচনার শুরুতে তিনি কথা বলছিলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘তৃতীয় দিনের আলোচনায় বসছি, আমরা আলোচনা খুব দ্রুততার সাথে যাচ্ছি না যে, এটা রাষ্ট্রের বিষয়, এটা রিপালিকের বিষয়। এটা সংবিধানের বিষয়, তাড়াহুড়োর কোনো বিষয় নয়’।
প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হবে একটা বৃহত্তর কনসেনসাস আমরা সৃষ্টি করতে পারব সেটা জাতীয় জীবনে একটা মহান ভূমিকা রাখবে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সুতরাং একটু সময় বেশি নিলেও বিস্তরিত রিপোর্টের ওপরে বিস্তারিত আলাপ করছি’। খবর বিডিনিউজের
পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর মতামত দিতে তৃতীয় দিনের মতো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে বিএনপি। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই আলোচনা শুরু হয়। এর আগে গেল বৃহস্পতিবার ও রোববার দিনভর আলোচনার পরে বৈঠক মূলতবি করা হয়েছিল।আলোচনায় সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সচিব আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আলী রীয়াজ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে ছিলেন কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত যেটাকে আমরা স্প্রেডশিট বলি এর ওপর আমরা কোনো আলোচনাই করিনি। সেটা (স্প্রেডশিট) নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছিল। বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সেটা ওনারাও (ঐকমত্য কমিশন) আলোচনা করতে আগ্রহী নয়। আমরা মোটেও আগ্রহী নই। আমরা বিস্তারিত রিপোর্টের ওপর দফা ওয়ারি আলোচনার মধ্য দিয়ে আলোচনাটা শেষ করতে চাই’।
এদিন বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার রিপোর্টগুলো নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিচার বিভাগ নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত যে অধ্যাদেশ জারি করেছে সেটা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হয়েছে সেই বিষয়টা এবং সুপ্রিম কোর্টের একটা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যে উদ্যোগটা গ্রহণ করেছে এগুলোসহ আমরা বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার আছে। তবে আমি বিচার বিভাগকে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট সকল উদ্যোগকে যাতে আইননানুগ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় যায় সেটার আহবান জানাব। যাতে আমরা কোনোভাবে বিচার বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের কোনো কার্য্ক্রম আইননানুগে অসাংবিধানিক না হয় সেদিকে যেন দৃষ্টি রাখি’।