এস আলম গ্রুপের জমাকৃত ২৬ হাজার কোটি টাকা বর্তমানে সরকার কর্তৃক পরিবর্তিত পরিচালনা পরিষদ পরিচালিত ব্যাংকগুলোকে ৩ হাজার কোটি টাকা করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ ও সমাজে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে গভর্নরের প্রতি বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রামের আহব্বায়ক জাহিদুল করিম কচি আহবান জানিয়েছেন।
শিল্পপতি এস আলম গ্রুপের সাতটি ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের পাওনা টাকা পরিশোধ করছে না ব্যাংকগুলো। এই ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক। লক্ষ লক্ষ গ্রাহক সারাদেশে প্রতিদিন এসব ব্যাংকে গিয়েও টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। এতে করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত পত্রিকায় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী এস আলম গ্রুপের ২৬ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে রক্ষিত আছে।
জনগণের এই অস্থিরতা কমাতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের জমাকৃত ২৬ হাজার কোটি টাকা বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালনা পরিষদের পরিবর্তনের পর নতুন পরিচালনা পর্ষদকে ৩ হাজার কোটি টাকা করে প্রদান করলে ব্যাংকগুলো আবার সচল হবে।জনগণ তাদের টাকা ফেরত পাবে। এতে ব্যাংকগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। তদুপরি ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন পরিশোধে সহায়ক হবে। নতুবা চলতি মাসের শেষ দিকে বেতন না পেলে সমগ্র ব্যাংকে এক অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে। আপনি সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে এ ব্যাপারে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রাম আহবান জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি