এস আলমের বিরুদ্ধে ২ মামলা অনুমোদন

1

পূর্বদেশ ডেস্ক

ঋণের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত শিল্প গ্রুপ এস আলমের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে একটি মামলার আসামির তালিকায় তার সঙ্গে ৩৬ জনকে; আরেকটিতে ৩০ জনকে রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর বিডিনিউজের।
একটি মামলায় ‘সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের’ নামে প্রায় ৫৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব এ কোম্পানির নামে ৫৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এতে মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ঋণের জন্য ব্যাংকটির শাখা থেকে জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ে বিনিয়োগ প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জুবলি রোড শাখা থেকে মেসার্স সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে বাই মুরাবাহা (হাইপো) বিনিয়োগের জন্য ৭২ কোটি এবং এলসি সীমা ৮০ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের হালনাগাদ সিআইবি নেওয়া হয়নি, ঠিকানা যাচাই করা হয়নি, হালনাগাদ বীমা পলিসি ও ট্রেড লাইসেন্সও নেওয়া হয়নি। আত্মসাতের পরিমাণ ৫৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এস আলম গ্রুপের কিছু প্রতিষ্ঠানের হিসাবেও স্থানান্তরিত হয়ে মানি লন্ডারিং অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।
আরেকটি মামলায় মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের নামে ৫৫৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর হুদার যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ঋণ অনুমোদন করা হয়। এ মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন ৩১ জন।
২০১৬ সালের নভেম্বরে মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের নামে আন্দরকিল্লা শাখায় বাই মুরাবাহা (হাইপো) বিনিয়োগ সীমা ৫০ কোটি এবং এলসি সীমা ৫৫ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। ঋণ দেওয়ার সময় হালনাগাদ সিআইবি, ঠিকানা যাচাই, বীমা পলিসি, ট্রেড লাইসেন্স, ল-ইয়ার সেটিসফেকসন সার্টিফিকেট নেয়া হয়নি।
ঋণের পর থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখা থেকে ইউনিয়ন ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ভেনাস ট্রেডিংস লিমিটেট, রিজেনেবল ট্রেডার্স লিমিটেড, আব্দুল আওয়াল অ্যান্ড সন্স লিমিটেড, ইউনিয়ন প্যাসিফিক সোর্স অ্যান্ড ট্রেড ইত্যাদি নামসর্বস্ব কোম্পানির অনুক‚লে টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩০ কোটি টাকা এস আলম গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়, যা মানিলন্ডারিং হিসেবে ধরা হয়েছে।