পূর্বদেশ ডেস্ক
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুবিধা পাওয়া শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইসলামী ব্যাংকের ৯১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫২ জনকে। এদের মধ্যে আহসানুল আলম এক সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে বসেছিলেন। একই ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এর আগে দুটি মামলা করে দুদক। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল মঙ্গলবার মামলা অনুমোদন দেওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমে জানান কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
বাকি আসামিদের মধ্যে আছেন সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ও চেয়ারম্যান (ইসি কমিটি) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক নমিনী পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমদ, সাবেক পরিচালক কামরুল হাসান, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মাদ সালেহ জহুর, সাবেক পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হাসান, সাবেক পরিচালক ফসিউল আলম, সাবেক সদস্য (ইসি কমিটি) আবু সাইদ মোহাম্মদ কাশেম, সাবেক পরিচালক ও সদস্য (ইসি কমিটি) জামাল মোস্তফা চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব উল আলম, সাবেক ডিএমডি (আইঅ্যান্ডসিটিডব্লিউ) তাহের আহমেদ চৌধুরী, ডিএমডি (আইবিডব্লিউ) হাসনে আলম ও ডিএমডি (আরআইডব্লিউ) আব্দুল জব্বার।
সদস্য (ইনভেস্টমেন্ট কমিটি) সিদ্দিকুর রহমান, এ.এ.এম হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, ওমর ফারুক খান, সদস্য (আইসি-০১), অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী, সাবেক ডিএমডি (সিআরও) মোহাম্মদ আলী, সাবেক ডিএমডি (সিএইচআরও) মোস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সাবেক এসইভিপি (বর্তমানে এএমডি ও সদস্য, আইসি-০১) আলতাফ হোসেন ও সাবেক ডিএমডি (আইটিডবিøউ) মোহাম্মদ সাব্বিরের নামও রয়েছে আসামির তালিকায়।
নিয়োগ কমিটির (০১) সদস্য সচিব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, সাবেক ডিএমডি মিফতাহ উদ্দিন, সাবেক এসইভিপি (আইএমডব্লিউ) মোহাম্মদ উল্লাহ, সাবেক ডিএমডি আবুল ফাইয়াজ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক এসইভিপি (বর্তমানে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইটিডব্লিও) রফিকুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (আইএডি প্রধান) ফরিদ উদ্দিন, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চুক্তি ভিত্তিক) রেজাউল করিম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট (কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট বিভাগ, বর্তমানে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট) খালেদ মাহমুদ রায়হান ও ভিপি মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলায় ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে ৮২৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা (মুনাফাসহ ৯১৮ কোটি ৫৭ লাখ) আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় ব্যাংকটির অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মনজুর হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা প্রধান মুহাম্মদ সিরাজুল কবির, এসএভিপি (কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশন, সিআইডি-১) মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, দুলারি এন্টারপ্রাইজ প্রোপাইটর ছাদেকুর রহমান, মুছা এন্টারপ্রাইজের মুছা চৌধুরী, এমএম কর্পোরেশনের মোহাম্মদ রফিক ও অ্যাপার্চার ট্রেডিং হাউজের এস. এম নেছার উল্লাহকেও বিবাদী করেছে দুদক।
আসামি করা হয়েছে ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশনের আরশাদুর রহমান চৌধুরী, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের মোহাম্মাদ আব্দুস সবুর, আনছার এন্টারপ্রাইজের আনছারুল আলম চৌধুরী, রেইনবো কর্পোরেশনের রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউজের এরশাদ উদ্দিন, গ্রিন এক্সপোজ ট্রেডার্সের এম এ মোনায়েম, ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী ও সোনালী ট্রেডার্সের সহিদুল আলমকেও।
গত ২১ অগাস্ট এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর বিভিন্ন সময় ব্যাংকটির ঋত জালিয়াতি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।