এসডিজির প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই : অতি. জেলা প্রশাসক

30

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিক বলেছেন, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। যারা প্রারম্ভিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তাদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। সমাজের পিছিয়ে পড়া বস্তি এলাকার নিম্নআয়ের মানুষের ৪ থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুদেরকে আনন্দের সাথে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে যাতে কোন শিশু বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করে তা একের পর এক বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ বিনির্মাণ ও ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির গোল অর্জন করতে হলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি আমরা সকলে এগিয়ে আসলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম শিশু একাডেমিতে মিলনায়তনে শিশুর বিকাশে প্রারম্ভিক শিক্ষা (৩য় পর্যায়) প্রকল্প আয়োজিত এডভোকেসী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালনায় ইউনিসেফ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নগরীর ১০টি ওয়ার্ডের পিছিয়ে পড়া বস্তি এলাকায় ১০টি শিশু বিকাশ কেন্দ্রে প্রারম্ভিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে শিশুর বিকাশে প্রারম্ভিক শিক্ষা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে এ প্রকল্পের সমাপ্তি ঘটবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চীফ সিটি প্ল্যানার এ কে এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এডভোকেসী সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নারগীস সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশুর বিকাশে প্রারম্ভিক শিক্ষা (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের রিসোর্স পারসন তারেক উল ইসলাম, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও ইউনিসেফ’র চট্টগ্রামস্থ শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা ইয়াসমিন।
বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন, কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন চৌধুরী আসু, শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিক্ষিকা প্রতিভা রানী ধর, জেসমিন আকতার, সাজিয়া পারভীন, উম্মে সালমা, মুন্নি আক্তার, ফাহমিদা আলম, আইরিন আক্তার, তাহামিনা রহমান নেহা, রাশেদা বেগম, আইরিন আক্তার, সুজানা আফনান প্রমুখ। শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ বিষয়ক এডভোকেসী সভায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রতিনিধি, ইউনিসেফ’র প্রতিনিধি, শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক ও সিটি কর্পোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডের সচিবরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, বস্তি এলাকার পিছিয়ে থাকা নিম্ন শ্রেণীর মানুষের ৪-৫ বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষা, যত্ন ও মেধা বিকাশ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্তে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইউনিসেফ’র নির্বাচিত ও অর্থায়নে সারাদেশের ১৫টি জেলার ১৬টি উপজেলা, ৮টি সিটি কর্পোরেশনের আরবান এলাকা ও অবহেলিত এলাকাগুলোতে শিশুর বিকাশে প্রারম্ভিক শিক্ষা (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডে ১০টি শিশু বিকাশ কেন্দ্রে ৪-৫ বছর বয়সী শিশুদেরকে প্রারম্ভিক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চট্টগ্রাম নগরীর শিশু বিকাশ কেন্দ্রগুলোতে প্রারম্ভিক শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত তদারকির দায়িত্বে রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি