পূর্বদেশ ডেস্ক
চলতি বছরের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় বসছেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে নয়টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দেবেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষা দেবেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে।
গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভায় বসে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটি। খবর বিডিনিউজের।
সভার পর মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী। ১৮ হাজার ৮৪টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।
দাখিল পরীক্ষায় ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। ৯ হাজার ৬৩টি মাদ্রাসার এসব পরীক্ষার্থী ৭২৫টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ছাত্রের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন; ছাত্রী আছেন ৩৪ হাজার ৯২৮জন।
বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে আগামী ১০ এপ্রিল শুরু হবে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শেষ হবে (তত্ত্বীয় পরীক্ষা) ১৩ মে। ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবারের এসএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে।
এসএসসির সূচিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা আরাম্ভের তিন দিন আগে প্রবেশপত্র নিতে হবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে।
তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পাস করতে হবে পৃথকভাবে। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ ‘সায়েন্টিফিক’ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে ও ব্যবহার করতে পারবেন না।
সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘সংবেদনশীল’ আচরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গুজব প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক জনসচেতনতা প্রচারের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।