এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় আজ থেকে

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

আনুষ্ঠানিকভাবে আজ শুক্রবার থেকে টোল আদায় শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। সকাল ১০টায় এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায়ের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। উদ্বোধনের পর টোল প্রদানের মাধ্যমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবেন জনসাধারণ।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধনের সাথে নাম পরির্তনের সিদ্ধান্তও নিচ্ছে সিডিএ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে এ নামকরণ হতে পারে।
সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘শুক্রবার সকাল দশটায় টোল কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। নাম পরিবর্তনের একটা সিদ্ধান্তে যাচ্ছি। সেটা আমরা সবার সামনে প্রকাশ করবো।’
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টায় টোল কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তাছাড়া চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জেলা প্রশাসকসহ অন্যরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। পতেঙ্গা প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। টোল কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে হবে।’
নগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। সিএনজিচালিত ট্যাক্সি চালকদের টোল দিতে হবে ৩০ টাকা। প্রাইভেটকারের টোল ৮০ টাকা, জিপ গাড়ি ও মোইক্রোবাসের টোল ১০০ টাকা। পিকআপের টোল ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও চার চাকার ট্রাকের ২০০ টাকা করে, বাস ২৮০ টাকা, ছয় চাকার ট্রাকের ৩০০ টাকা ও কাভার্ডভ্যান চলাচলে ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বর্তমানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলাচল করলেও কোনো টোল দিতে হচ্ছে না।
এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার সকাল দশটায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর টোল দিয়ে গাড়ি চলচল শুরু হবে।’
২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। খরচ বেড়েছে এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সংশোধিত প্রকল্প একনেকের সভায় অনুমোদিত হয়। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজই শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পরে দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।