এর মানে কী আইন কী বলে

11

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের নির্বাহী আদেশে ওই দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন।
এ আইনের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে’। খবর বিডিনিউজের
সরকার চাইলে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে বা তফসিল থেকে বাদ দিতে পারবে বা অন্য কোনোভাবে তফসিল সংশোধনও করতে পারবে।জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে, যা ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন’ হিসেবে সংসদে পাস হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে বিভিন্ন সময়ে দশটি জঙ্গি দলকে নিষিদ্ধ করলেও ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন’ প্রয়োগ করে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হল এবারই প্রথম।
অবশ্য আদালতের রায়ে আগেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন হারিয়েছিল একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াত।
সংবিধানের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাই কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ‘অবৈধ ও বাতিল’ ঘোষণা করে রায় দেয়। গতবছর সর্বোচ্চ আদালতেও হাই কোর্টের ওই রায় বহাল থাকে। তাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের শরিক জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন করার যোগ্যতা হারায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন যখন চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে, তখন ১১ দফাসহ বিভিন্ন দাবির বিরোধিতা করে জামায়াত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করতে রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ নামে বিভিন্ন দল গঠন করে জামায়াত ও এর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ, যার নাম এখন ইসলামী ছাত্র শিবির।
সে সময় তারা সারা দেশে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের মত যুদ্ধাপরাধ ঘটায়। আদালতে ঘোষিত যুদ্ধাপরাধ মামলার বিভিন্ন রায়ে বিষয়গুলো উঠে আসে। একটি মামলার রায়ে একাত্তরের ভ‚মিকার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে ‘ক্রিমিনাল দল’ আখ্যায়িত করা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিল জামায়াত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর জিয়াউর রহমানের আমলে দলটি রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়।

এবার কেন নিষিদ্ধ
এবার জামায়াত নিষিদ্ধ হলো সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা ও নাশকতায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর। ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জুনের শেষে হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা ফের মাঠে নামে। জুলাইয়ে তা সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে একপর্যায়ে তা সহিংসতায় গড়ায়।
এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা শুরু হয়। রামপুরায় বিটিভি ভবন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয় এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালীর টোল প্লাজা এবং মেট্রোরেলের দুইটি স্টেশনে।এই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে ১৫০ মানুষের মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করেছে সরকার, যদিও সংবাদমাধ্যমের খবরে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে।
সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে নাশকতা করেছে জামায়াতে ইসলামী, আর তাতে মদদ দিয়েছে তাদের দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিএনপি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্ররা কোনোদিন এমন ধ্বংসাত্মক কর্মকাÐে লিপ্ত হতো না যদি তাদের পরামর্শদাতারা এই রকম পরামর্শ না দিত। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। এই যে এতগুলো মানুষ হতাহত হলোা, শুধু কি পুলিশের গুলিতে হয়েছে? আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন, আমরাও প্রকাশ করব কার গুলিতে কত মানুষ মারা গেছে, আহত হয়েছে। এই সবকিছু তো ছাত্ররা করেনি। ছাত্রদের পেছনে রেখে পেছন থেকে যারা করেছে সেগুলো জামায়াত-শিবির-বিএনপি। অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলো এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল। এটাই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে। সেজন্য অনেক দিনের যে চাহিদা ছিল যে, জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার, আজকে সেই প্রক্রিয়াটি চলছে’।

আইনের সংজ্ঞায় সন্ত্রাসী কারা
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ‘সন্ত্রাসী কাজের’ সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণ বা জনসাধারণের কোনো অংশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার বা কোনো সত্তা বা কোনো ব্যক্তিকে কোনো কাজ করতে বা করা থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা, গুরুতর আঘাত, আটক বা অপহরণ করে বা করার চেষ্টা করে, এ ধরনের কাজের জন্য অন্য কারো সঙ্গে ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করে; অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা প্রজাতন্ত্রের কোনো সম্পত্তির ক্ষতি করে বা করার চেষ্টা করে; অথবা ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করে; অথবা এ ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বা নিজ দখলে রাখে, কোনো সশস্ত্র সংঘাতময় দ্ব›েদ্বর বৈরী পরিস্থিতিতে অংশ নেয়, তাহলে তা ‘সন্ত্রাসী কাজ’ বলে গণ্য হবে।
আইনের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সন্ত্রাসী কাজ করলে, সন্ত্রাসী কাজে অংশ নিলে, সন্ত্রাসী কাজের জন্য প্রস্তুতি নিলে বা সন্ত্রাসী কাজ সংঘটনে সাহায্য বা উৎসাহ দিলে, সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত কাউকে সমর্থন বা সহায়তা দিলে সেই ব্যক্তি, সত্তা বা সংগঠন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত বলে বিবেচিত হবে।
‘সত্তা’ বলতে কোনো আইনি প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যক বা অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী, অংশীদারী কারবার, সমবায় সমিতিসহ এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে কোনো সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৭(ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন নম্বর ১৯৭৩ অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি বা সত্তা কোনো সন্ত্রাসী কাজ করে বা চেষ্টা চালায় বা অংশ নেয় বা সন্ত্রাসী কাজে সহযোগিতা করে, তাহলে সে নিষিদ্ধের মানদন্ডের আওতাভুক্ত হবে।
এছাড়া তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ ঘোষিত যে কোনো ব্যক্তি বা সত্তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মালিকাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো সত্তা বা তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ ঘোষিত যে কোনো ব্যক্তি বা সত্তার পক্ষে বা নির্দেশে কাজ করে এমন কোনো ব্যক্তি বা সত্তা নিষিদ্ধের আওতাভুক্ত হবে। এমনকি কোনো সন্ত্রাসী ব্যক্তিকে আশ্রয় দিলে বা অন্য কোনোভাবে সন্ত্রাসী কাজের সাথে জড়িত হলেও সেই ব্যক্তি বা স্বত্ত্বা সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত বলে গণ্য হবে।

সন্ত্রাসের শাস্তি কী
সন্ত্রাস দমন আইনে কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ড এবং অন্যূন ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।
আইনজীবী তুরিন আফরোজ বলেন, ‘দোষী প্রমাণিত হলে অপরাধের গুরুত্ব অনুসারে এই আইনের আলোকে শাস্তি দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি কাউকে মেরে ফেলে বোমা ছুড়ে, তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড ছাড়া কী হবে? আর যদি সে আরও কম গুরুতর কোনো অপরাধ করে, তাহলে শাস্তি কম হবে’।
আইনের ৬ নম্বর ধারায় শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে-
ক) যদি কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা বিদেশি নাগরিক অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা, গুরুতর আঘাত, আটক বা অপহরণ করে বা করার চেষ্টা করে, তাহলে তিনি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন বা এর অতিরিক্ত অর্থদন্ড আরোপ করা যাবে।
খ) এ ধরনের কাজের জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করে, তাহলে এই অপরাধের নির্ধারিত শাস্তি যদি মৃত্যুদন্ড হয়, সেক্ষেত্রে তিনি যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব ১৪ বছর ও অন্যূন ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
গ) যদি কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা বিদেশি নাগরিক অন্য কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা প্রজাতন্ত্রের কোনো সম্পত্তির ক্ষতি করে বা করার চেষ্টা করে, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব ১৪ বছর ও অন্যূন ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
ঘ) যদি কোনো ব্যক্তি বা সত্তা প্রজাতন্ত্রের কোনো সম্পত্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করে, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ১৪ বছর ও অন্যূন ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
ঙ) কোনো ব্যক্তি বা সত্তা যদি এ ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বা নিজের দখলে রাখে, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব ১৪ বছর ও অন্যূন ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
চ) যদি কোনো সত্তা সন্ত্রাসী কার্য সংঘটন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে এবং এর অতিরিক্ত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্যের তিনগুণ পরিমাণ অর্থ বা ৫০ লাখ টাকা বা এর বেশি অর্থদন্ড আরোপ করা যাবে।
ছ) ওই সত্তার প্রধান, তিনি চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা অন্য যে কোনো নামে অভিহিত কেউ অনূর্ধ্ব ২০ বছর ও অন্যূন ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত সম্পত্তির মূল্যের দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ বা ২০ লাখ টাকা বা এর বেশি অর্থদন্ড আরোপ করা যাবে, যদি না তিনি প্রমাণ করতে সমর্থ হন যে, এই অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছিল বা এটি সংঘটন নিবৃত্ত করার জন্য তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন।

জামায়াতের ফেরার সুযোগ আছে?
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তুরিন আফরোজ বলেন, প্রজ্ঞাপন দিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হলে সেটার আইনগত ভিত্তি রয়েছে। যদি জঙ্গি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে কোনো দল, সংগঠন, গোষ্ঠী করা হয়, সরকার চাইলে তাদের নিষিদ্ধ করতে করতে পারে।
‘সংগঠন নিষিদ্ধ করা মানে হচ্ছে-এ সংগঠন কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না। কোনোভাবেই এ সংগঠন এক্সিস্ট করে না। নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন যদি কার্যক্রম কোনোভাবে চালু রাখে, তাহলে এর বিরুদ্ধে সরকার যে কোনো রকম স্টেপ নিতে পারে’।
তবে নির্বাহী আদেশে এমন নিষেধাজ্ঞা জারির যে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সে কথাও বলেন তুরিন। তিনি বলেন, ‘তবে এক্সিকিউটিভ অর্ডারে নিষিদ্ধ করার সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, পরবর্তী যে কোনো সময়ে অন্য কোনো সরকার ক্ষমতায় এলে এটা উইথড্রও করতে পারে। অতীতে কিন্তু হয়েছে। জামায়াতের ছাত্র সংঘকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তারা পরবর্তীতে আবার রিভাইভ করে চলে আসে। এক্সিকিউটিভ অর্ডার পার্মানেন্ট কোনো সিলগালা নয়; সুযোগটা থেকে যায়’।