পূর্বদেশ ডেস্ক
এবার মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ‘পুশইন’ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া। তিনি বলেন, বুধবার তাদের আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে নয়জন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিনটি শিশু রয়েছে।
আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, পাঁচ বছর ধরে তারা ভারতের আসামে বসবাস করছেন। হঠাৎ পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিক ভান্ডার এলাকায় নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। তাদের বাড়ি নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বলে দাবি করেছেন। খবর বাংলানিউজের।
আটকরা আরও জানান, তাদের সঙ্গে আরও অনেকে ছিলেন। এ সংখ্যা তিন শতাধিক হবে। বিএসএফ তাদের কয়েকজনকে ধলই সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। তবে অন্যদের কোন সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারেননি।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন এ ব্যাপারে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি বিজিবি ১৫ জনকে আটক করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত বিজিবি থানায় কাউকে হস্তান্তর করেনি।
৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া বলেন, আটকরা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছেন। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার পর মৌলভীবাজার জেলার সব সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে ৪৪ জনকে এবং খাগড়াছড়ি থেকে ৬৬ জনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।