এবার চাল আমদানিতে শুল্ক কমল

2

আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। উচ্চমূল্যের বাজারে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টায় বাংলাদেশের প্রধান এ খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক হার কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। সেই সঙ্গে চাল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সেখানে বলা হয়েছে, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৫ শতাংশ।আর এখন যে ৫ শতাংশ আগাম কর দিতে হয়, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, শুল্ক-কর কমানোর ফলে আমদানি পর্যায়ে চালের দাম প্রতি কেজিতে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে।
আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক হ্রাস এবং আগাম কর প্রত্যাহারের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, দেশের আপামর জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে মর্মে এনবিআর আশা করছে। চালের বাজার দুই মাস ধরেই চড়া। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে গত এক মাসে।
এ পরিস্থিতিতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি বাড়াতে খাদ্য মন্ত্রণালয় শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেয় সেপ্টেম্বরের শেষে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, খাদ্য মজুত গড়ে তোলা ও কৃষকদের উৎসাহ দিতে চলতি বোরো মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান ও ১৪ লাখ ৭০ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭০ টন ধান ও ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৪৯৭ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।
বর্তমানে সরকারি গুদামে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪০ টন চাল এবং ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯২৮ টন গমসহ মোট ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ১৯৯ টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে।
স¤প্রতি দেশের ১৪ জেলায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। ফলে আউশ, রোপা আমন এবং আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। তাতে আমন ওঠার পরও চালের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ওই চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সে কারণে চাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ (২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১ শতাংশ ইন্স্যুরেন্স, ১ শতাংশ ল্যান্ডিং চার্জ এবং ০.৫ শতাংশ ডিএফ ভ্যাট) থেকে কমিয়ে শুধু ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল সেখানে।
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় এর আগে ভোজ্যতেল, চিনি ও ডিম আমদানিতেও শুল্ক ছাড় দিয়েছে এনবিআর।