পূর্বদেশ ডেস্ক
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করার বড় একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। যারা বাড়িতে যাবেন, ভোটারদের একটি বার্তা দেবেন, এবার আগের মতো ভোট হবে না। আপনার ভোট আপনি দিতে পারবেন। এ লক্ষ্যে মানুষের মধ্য একটি জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। নারী ভোটারসহ সব ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে আসেন সে লক্ষ্যে নানা প্রচার-প্রচারণা করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মৌলভীবাজার শহরের বেঙ্গল কনভেনশন হলে ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
সিইসি বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু-সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে চাই, এতে কোনও দ্বিধা নেই। আমাদের লক্ষ্য একটা, কোনও দল বা গোষ্ঠীকে ভোটে জেতানোর জন্য অথবা কোনও ব্যক্তি যেন ভোটে জিততে না পারে সে কাজের জন্য আমরা নামিনি। আমরা নেমেছি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার জন্য। মানুষ যাকে ভোট দেবে সেই জিতবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আগে ফেভার না করলে চাকরি নিয়ে টান পড়তো। অফিসাররা যখন কাজ করতো, তখন কাউকে কাউকে ফেভার করার কথা বলা হতো। না করলে অসুবিধা হতো। এখন ফেভার করতে গেলে অসুবিধা হবে। আগের অবস্থার এখন পুরো উল্টো। এখন আর আগের মতো ভোট হবে না। আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, এ বিষয়ে অনড় থাকবো। কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মঈন উদ্দীন খান, প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়। কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা অংশ নেন।