পূর্বদেশ ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহব্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাতিখানা কবরস্থানে ‘জুলাই শহীদ’ সাজ্জাদ হোসেনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনও অনলাইনে সরব। তারা ঘাপটি মেরে দেশেই রয়েছে। এ কারণে আমাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। বুধবারও এনসিপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তাদের ধরে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ পরাজিত শক্তি নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এমন অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেবে কে? সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ।
পরাজিত শক্তির রেখে যাওয়া পুরাতন বন্দোবস্ত পরিবর্তন করা ছাড়া কাক্সিক্ষত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যত দ্রুত সংষ্কার হবে, তত তাড়াতাড়ি দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। আমরা জুলাই পদযাত্রার মাধ্যমে যে সাড়া পাচ্ছি তাতে জনগণের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করেই ছাড়বো।
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সংবিধান বদলাতে হবে। কারণ বর্তমান সংবিধান আওয়ামী সংবিধান। এটার পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ নির্মূল হবে না। ফ্যাসিস্ট বিদায় হলেও ফ্যাসিবাদীতন্ত্র এখনও জেঁকে বসে আছে রাষ্ট্রযন্ত্রে।
তিনি বলেন, গত ফ্যাসিস্ট আমলে নীলফামারীর মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত। এখানে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জেলার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। এজন্য এনসিপির পক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলের সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।
একই পথসভায় উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, দেশে আমরা আর চাঁদাবাজি দেখতে চাই না, দখলদারিত্ব দেখতে চাই না। কোনো লুটপাট দেখতে চাই না। আমরা কোনো সরকারি অফিসে দাসত্বের মতো ব্যবহার দেখতে চাই না। টাকা ছাড়া কাজ হয় না- এমন কোনো সরকারি অফিসে দেখতে চাই না। সকলের সহযোগিতা এবং সমর্থন নিয়ে সুন্দর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহŸায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম, মুনিয় শারমিন, জ্যেষ্ঠ সদস্য সচিব তাসনিয়া জারা, নাহিদ সারোয়ার নিভা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারী আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ন মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিউনসহ জেলা ও উপজেলা নেতারা।