এনসিটি বিদেশি কোম্পানিকে হস্তান্তর সিদ্ধান্ত বাতিল দাবি

1

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি কোম্পানির নিকট হস্তান্তর এবং মিয়ানমারের আরাকানে মানবিক করিডোর প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মাওলানা মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অন্যতম একটি প্রধান সমুদ্র বন্দর। এটি বাংলাদেশ এর রাজস্ব আয়ের ৭০ শতাংশ যোগানদাতা। দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেশের এহেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের কথা শুনা যায়। আমরা মনে করি সরকারের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা চট্টগ্রাম বিদ্বেষী একটি লুটেরা দুষ্টচক্র এটিকে বিদেশি কোম্পানির নিকট হস্তান্তর করার অশুভ চক্রান্ত- ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যা কেবলই দুঃখজনক নয়, বরং গ্লানিকরও বটে। গতকাল দুপুরে নগরীর ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মহানগর সভাপতি এইচ এম মুজিবুল হক শ্বাকুর। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা স ম শহিদুল হক ফারুকী, এ এস এম কাউসার, অধ্যাপক শহিদুল্লাহ সাদা, এ এম মঈন উদ্দিন চৌধুরী হালিম, স ম শওকত আজিজ, লায়ন মুহাম্মদ ইমরান, ডা. হাসমত আলী তাহেরী, মাওলানা আবদুল মালেক আশরাফী, মাওলানা মহিউদ্দিন তাহেরী, আলী আজগর খান, এস এম আবু ছাদেক সিটু, মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, কাজী আহসানুল আলম, আহমদ রেজা, সাইফুল ইসলাম লিটন, আলী আজাদ রেজভী, ইশতিয়াক রাফী। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তরা আরো বলেন,অপরদিকে জাতিসংঘের তত্ত¡াবধানে রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য মানবিক করিডোর স্থাপনে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্রকৃতপক্ষে যা সম্প‚র্ণ অবিবেচনাপ্রস‚ত বলে আমরা মনে করি। কেননা দেশের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক ঐকমত্য ব্যাতিরেকে এহেন স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত কোনভাবেই সমীচীন হতে পারে না। কারণ এর ফলে বাংলাদেশের জন্য সামরিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে । এবং এতে কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিজ্ঞপ্তি