এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

পুরান ঢাকার বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে সড়কে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা তাদের মাদ্রাসা মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। একই সঙ্গে রাতেই ওই মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাতভর আন্দোলনের পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা আলিয়া মাদ্রাসার আশপাশের সব সড়ক বন্ধ করে দেন। দাবি তোলেন, তাদের মাদ্রাসা মাঠ ফিরিয়ে দিতে হবে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
এদিকে মধ্যরাতে অস্থায়ী এই আদালতের এজলাস কক্ষে কে বা কারা আগুন দিয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর মাদ্রাসার বাইরে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি অবস্থান করলেও প্রধান দুটি ফটক তালাবদ্ধ থাকার কারণে কোনও কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। আগুনে কিছু নথি ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাদ্রাসার ভেতরে মাঠে বিচার কাজ চলমান থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘিœত হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও কর্তপাত করেনি তারা। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গতকাল সড়ক অবরোধ করেছে।
এবিষয়ে চকবাজার থানার ওসি রেজাউল হোসেন বলেন, পুলিশ আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে অবস্থান করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এর মধ্যেই বাইরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত রয়েছে, সেনাবাহিনী রয়েছে। আদালতের কর্তৃপক্ষ এখানে আসছেন, তারপর সুরাহা বা সিদ্ধান্ত হবে
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐ দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।