এখনও সেমির স্বপ্ন দেখেন মাশরাফি

108

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথটা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের। আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামী তিন ম্যাচ জিতলেও কিছু সমীকরণের ফাঁদে পড়তে হতে পারে মাশরাফিদের। এই ম্যাচের পর ৬ ম্যাচে ৫ জয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে ২ জয়ে ৫ পয়েন্ট বাংলাদেশের। ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নিউজিল্যান্ড। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইংল্যান্ড। এমন অবস্থায় সেমিফাইনালের স্বপ্ন এখনও ছাড়েননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন তার সেই আশার কথা, ‘এখনও বলা যায় না। ক্রিকেটে কখনোই বলা সম্ভব নয়, কী হতে যাচ্ছে। আমরা শেষ তিনটি ম্যাচে জিততে পারলে হয়তো সম্ভাবনা তৈরি হবে। এই সুযোগটা আমাদের নিজেদেরই তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যদের দিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করা ৩৩০ রানের রেকর্ড ভেঙে বৃহস্পতিবার সেটা দাঁড়িয়েছে ৩৩৩ রানে। এমন হাই স্কোরিং ম্যাচে শুরুতে টসটা জেতে অজিরা। অ্যারন ফিঞ্চের মতো মাশরাফিও জানালেন টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন শুরুতে, ‘ উইকেটটা খুবই ভালো ছিল। যারা টস জিততো আগে ব্যাটিংই নিতো। আমরাও তাই করতাম।’
হাইস্কোরিং ম্যাচে হাফচান্সগুলোকে ফুলচান্স বানাতে হয়-বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক এমনটাই মনে করেন। বৃহস্পতিবার সাব্বিরের কল্যাণে ডেভিড ওয়ার্নার ১০ রানে জীবন পেয়ে খেলেছেন ১৬৬ রানের ইনিংস। বাড়তি করেছেন ১৫৬ রান। সুযোগগুলো নিতে না পেরে হতাশা ঝরলো মাশরাফির কণ্ঠে, ‘ আমরা কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি। ফিফটি-ফিফটি হলেও এগুলো নেওয়া উচিত ছিল। তাহলে হয়ত ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত। এই ধরণের ম্যাচে সুযোগগুলো নিতে হবে। ডেভিড ওয়ার্নার এরপরে ১৫৬ রান যোগ করেছে।’ তিনি আরও যোগ করে বললেন, ‘তারপরেও আমরা ৪০ ওভার পর্যন্ত ঠিক ছিলাম। যদিও ওদের উইকেট পড়েনি। শেষ দিকে আমরা বোলিংয়ে এলোমেলো ছিলাম। ওখানেই মূলত সমস্যা হয়েছে।’