এখনও দখলদারিত্ব চালাচ্ছেন আরশেদুল আলম বাচ্চু

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গা ডাকা দিয়েছেন অধিকাংশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। কিন্তু ব্যতিক্রম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলে আস্থাভাজন এ নেতা এখনও বজায় রেখেছেন বেপরোয় মার্কেট দখল বাণিজ্য।
এখনও মার্কেট দখল তো করছেনই, উল্টো বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকির মধ্যেও রেখেছেন মালিকদের। এ নিয়ে নগরীর চকবাজার থানায় মামলা হয়েছে। এরপরও থেমে নেই তার দখল বাণিজ্যে। তিনি আত্মগোপনে থাকলেও তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যেমে দখলদারিত্ব চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। নগরীর সেন্ট্রাল প্লাজার কিছু অংশ দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মালিকরা। মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মাদ ইয়াকুব।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে মার্কেটটির সম্পূর্ণ ছাদ দখল করে নেন আরশেদুল আলম বাচ্চু এবং তার সহযোগী হাফিজ উল্লাহ আমিন তিমুর। তাদের সঙ্গে মালিকপক্ষের কোন বৈধ চুক্তি নেই। ফ্যাসিবাদী সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মার্কেটটি দখলে রাখেন। সেখানে আরশেদুল আলম বাচ্চু ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে বিজ্ঞাপনের চুক্তি করে ভাড়া দিয়ে আয় করেছেন। গত ৭ আগস্ট দখলকৃত দোকান ও ছাদ দখলমুক্ত করলেও এর ২০দিন পর আবারও দখলে নেন আরশেদুল আলম বাচ্চু ও তার সহযোগীরা। তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যেমে এটি দখল করেন। এরপর থেকে মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছেন। মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোন ধরনের চুক্তি ছাড়াই গত আট বছর ধরে সেন্ট্রাল প্লাজার ৩য় তলায় তিনটি দোকান ও মার্কেটের ছাদ দখল করে রেখেছেন আরশেদুল আলম বাচ্চু। এসব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, মোবাইল টাওয়ার ভাড়া বাবদ প্রতিবছর আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। গত আট বছরের অন্তত ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মার্কেটের তৃতীয় তলা দখলে নিয়ে বানিয়েছেন দলীয় অফিস ও টর্চার সেল। এ টর্চার সেল তার অপর্কমের মূল আস্তানা। সেখানে বিভিন্ন মালিককে জোর করে নিয়ে গিয়ে মালিকানা লিখিয়ে নিয়েছেন। মার্কেটের অন্যতম মালিক ইব্রাহিমকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার অংশের মালিকানা লিখিয়ে নেন এই নেতা।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট পর তার বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যা, নাশকতা, দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ১৫টি মামলা চলমান রয়েছে। মুরাদপুর ছাত্র হত্যার অন্যতম হোতা এ আওয়ামী লীগ নেতা।