এম. কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
প্রায় দীর্ঘ ১ মাস পর্যটন ব্যবসা বন্ধ থাকার পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলো। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটক আসতে শুরু করছে। দীর্ঘদিন পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় প্রাণ ফিরছে পার্বত্যজেলা রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসায়। ধারণা করা হচ্ছে- এই সপ্তাহ থেকে জেলায় পর্যটকের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
তবে, দীর্ঘ প্রায় ১ মাসে পর্যটন ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় স্থানীয় ও দূর-দূরান্ত থেকে রাঙামাটি পর্যটন স্পটগুলোতে ২-৩ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে রাঙামাটিতে।
পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের টিকেট কাউন্টারে দায়িত্ব থাকা মো. সোহেল ও পর্যটক বোট ম্যানেজার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ২৪ দিন পর পর্যটকের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হয়েছে। বন্ধের দিন হওয়ায় মোটামুটি পর্যটক আসা শুরু করছে। ৩-৪শ’ পর্যটকের কাছে টিকেট বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয়দের ছাড়াও ঝুলন্ত ব্রিজে প্রবেশ করছেন দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরাও। এছাড়াও ১৫-২০টি পর্যটন ফাইবার বোট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামি সপ্তাহে ব্যাপক পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামি শুক্রবার-শনিবার অনেক সরকারি-বেসরকারি পর্যটক ঘুরাঘুরি করতে আসবে বলে আমরা আশা করছি। তাতে আমাদের লোকসান কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
হোটেল হিল প্যারাডাইসের মালিক মো. মঈনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১ মাস পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকার পর শুক্রবার খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে হোটেলগুলোতে বেশ কিছু রুম বুকিং হয়েছে। আগামিতে আরো বুকিং হবে। রাঙামাটির পরিবেশ পরিস্থিতি অনেক ভাল। নির্ভয়ে পর্যটক বেড়াতে পারবে। এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো। পর্যটক আসলে আমাদের ব্যবসা আরো ভালো হবে।
পর্যটক রাশেদ শাহরিয়ার রিপন ও লোকমান হোসেন বলেন, শুনলাম দীর্ঘ দিন পর রাঙামাটি পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে বেড়াতে এসেছি। অনেক ভাল লেগেছে, খুব আনন্দ উপভোগ করছি। আর ঝুলন্ত ব্রিজ দেখে আরো ভাল লেগেছে। আবারো বেড়াতে আসবো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, প্রায় একমাস পর শুক্রবার রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া হলো। এখন থেকে নির্বিঘেœ মানুষ বেড়াতে আসবে। নিরাপত্তাজনিত কারনে এতদিন পর্যটক আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল।
পুলিশ সুপার ড. ফাহাদ হোসেন বলেন, রাঙামাটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা সচেতন রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটন এলাকায় টুরিস্ট ডিউটিরত থাকবে। দেশ ও দেশের বাহির থেকে যে কোনো ধরনের পর্যটক আসতে পারবে।