একটু বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়ে তকিয়া পাড়ার বাসিন্দারা

1

রাউজান প্রতিনিধি

হালকা বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে রাউজানের ফকির তকিয়া পাড়ায় শতাধিক পরিবার। রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন ফকির তকিয়া পাড়ার সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে এ জলাবদ্ধতা। এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা ডুবে যাচ্ছে হাঁটুসমান পানিতে। ফলে ওই এলাকার শতাধিক পরিবারকে পড়তে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এতে নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই এলাকাবাসীর। তবে এলাকার স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির পানি চলাচলের পথ বন্ধ করায় এ দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বিশেষ করে স্কুলগামী শিশু, গৃহিণী, কর্মজীবী ও বয়স্ক মানুষজন সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক পথ বন্ধ করে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মাটি ভরাট করেছেন। যার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি আটকে যাচ্ছে এবং সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চলতি বছর একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পানি চলাচলের প্রাকৃতিক নালা বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছেন। ফলে বৃষ্টির পানি আর নিষ্কাশনের সুযোগ না পেয়ে রাস্তার উপর জমে যাচ্ছে। আগে যেখানে স্বাভাবিকভাবে পানি নেমে যেত, তারা আশঙ্কা করছেন, বর্ষা পূর্ণ মাত্রায় শুরু হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও চাকরীজীবী মো. শরীফুল্লাহ্ সরকার জানান, সরকার আসে, কিন্তু আমাদের এই সড়কের উন্নয়ন হয় না। এরই মধ্য সড়কের পাশে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি সড়কের পাশে নালা বন্ধ করে দেওয়ায় আরো বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এলাকার জনসাধারণকে। স্থানীয় বাসিন্দা ও চালক মো. এজাহার মিয়া বলেন, কোন মানুষ অসুস্থ বা মারা গেলেও মরদেহ আনা নেওয়া যায়না। এতে দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কৃষক মো. ফারুক বলেন, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ায়, একটু বৃষ্টি হলেও সড়কে কোমর পরিমাণ পানি উঠে যায়। যার কারণে জমির চাষও করা যায় না।
গৃহিণী শাহনাজ বেগম বলেন, সড়কের পাশে একটি নালা বন্ধ করে দেওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেও পিঙ্ক সিটির পানি এই সড়কের উপরে এসে পড়ে। যার দরুন পানি উঠে গেলে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারে না।
এ বিষয়ে রাউজান পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা বলেন কে বা কারা পানি নিস্কাশনের বন্ধ করেছে তা খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।