পূর্বদেশ ডেস্ক
প্লাস্টিকের উৎপাদন রোধ না করলে এখন থেকে এক দশকের মধ্যে প্লাস্টিকের বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব হিমশিম খাবে বলে সতর্ক করেছেন নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরেইম। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে প্লাস্টিক বর্জ্য রোধে প্রথম বৈশ্বিক চুক্তি বিষয়ে জাতিসংঘের একটি আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এই কথা বলেন তিনি। গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
রুয়ান্ডা ও নরওয়েসহ প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা করতে চায় এমন ৬০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বিথ টিভিনেরেইম। তিনি প্লাস্টিক বজ্য রোধে এমন একটি চুক্তির আশা করছেন যেটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দূষণ রোধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে। তবে বিরোধী দেশগুলোর জন্য এমন একটি ‘পারফেক্ট ট্রিটি’ বা চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
সম্প্রতি মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের নমুনা যেমন: জরায়ু, ধমনী, অন্ডকোষ ও বীর্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা, যা প্লাস্টিকের ব্যাপ্তী ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টিই তুলে ধরে।
প্লাস্টিক সংকট মানবস্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ুর জন্য হুমকিস্বরূপ। এ বিষয়ে ১৭৫টি দেশ একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষরের দুই বছর পার হলেও বিশ্বে এখনও ৭১২ বিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক শিল্প কমানোর যে অগ্রগতি তা থমকে আছে।
বক্তব্য রাখার সময় বিথ টিভিনেরেইম প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে প্লাস্টিকের উৎপাদনও ব্যবহার কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৬০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের ব্যবহার তিনগুণ হতে পারে। আর এর ব্যবহার সাব-সাহারান আফ্রিকা ও এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৬০ সাল নাগাদ প্লাস্টিক বর্জ্য তিনগুণ হবে, যার অর্ধেক হবে অব্যবহারযোগ্য এবং বাকি এক পঞ্চমাংশেরও কম হবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য।