পূর্বদেশ ডেস্ক
বলা হয়, জয়ের হাজারো বাবা থাকে, কিন্তু পরাজয় এতিম। এমনটাই হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সা¤প্রতিক সংঘাতের ক্ষেত্রে। অস্ত্রবিরতির পর উভয়পক্ষই জোরোশোরে নিজেদের সাফল্যের কথা তুলে ধরছে কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দেখাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি শুরু হওয়ার মিনিট কয়েক পর ভারতের এক টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল পর্দাজুড়ে ছড়ানো হেডলাইনে দেখাচ্ছিল ‘পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ’।
পরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপ সন্ত্রাসীদের প্রতি একটি জোরালো বার্তা পাঠিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে, পাকিস্তানের জনতা রাজধানী ইসলামাবাদের রাস্তায় জড়ো হয়ে ‘ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জয়’ উদযাপন শুরু করে দেয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তাদের ‘সাহসী সেনাবাহিনীর দর্শনীয় কায়দায় সামরিক ইতিহাস’ অর্জন করেছে বলে দাবি করেন।
শরিফ বলেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো ভারতে কামানগুলোকে যেভাবে স্তব্ধ করে দিয়েছে ইতিহাস তা সহজে ভুলবে না।
তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন তখন বাইরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছিল; জানিয়েছে সিএনএন। কিন্তু এটি ছিল পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর সহিংসতার বিস্ফোরণ যেখানে উভয়পক্ষ যেমন প্রবল আঘাত হেনেছে তেমনি প্রবল আঘাত সহ্যও করেছে।
পাকিস্তান আকাশে সাফলের ঝলক দেখিয়েছে, আকাশ যুদ্ধে তাদের পাইলটরা ফ্রান্সের তৈরি তিনটি অত্যাধুনিক রাফালসহ পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে। এটি সত্য হলে তা ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য এক যন্ত্রণাদায়ক অপমানের ঘটনা হবে।
এর আগে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল,পাকিস্তান যখন যুদ্ধবিমানগুলো গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করে প্রায় ওই সময় সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় রাজ্যগুলোতে দুটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থার এক সূত্র সিএনএনকে জানায়, পাকিস্তান অন্তত একটি ভারতীয় রাফাল ভূপাতিত করেছে। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা এখনও এমনকী একটি যুদ্ধবিমান হারানোর কথাও স্বীকার করতে রাজি হচ্ছে না।
এদিকে ভারত নতুন স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে। সেগুলোতে দেখা গেছে, বিমান ক্ষেত্র ও রেডার স্টেশনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এগুলো পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি যেগুলো ভারতের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পঙ্গু হয়ে গেছে।
অর্থাৎ ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা তাদের যেভাবে খুশি সেভাবে নাচতে পারেন, কিন্তু এই সংঘাতে পরিষ্কারভাবে কেউ জয়ী হয়নি।