নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সরকারি রেশনের চাল সংগ্রহ করা হয়। এরপর কম দামি চাল উন্নত ব্র্যান্ডের প্যাকেটে ভর্তি করে বেশি দামে বিক্রি করে। ‘নিম্নমানের চাল’ সেটি যাতে বোঝা না যায়, সেজন্য চালে মিশানো হয় কৃত্রিম সুগন্ধি। এভাবে নিম্নমানের চাল ব্র্যান্ডের চাল বলে বাজারজাত করেছে একটি চক্র।
জানা গেছে, দেশে ব্র্যান্ডের চালের চাহিদা অনেক। এ চালের বাজারও বেশ বড়। সেই সুযোগে নি¤œমানের চাল ব্র্যান্ডের মোড়কে বাজারজাত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর পাইকারি চালের মোকাম পাহাড়তলিতে গতকাল অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে এমন জালিয়াতির প্রমাণ মেলে।
মের্সাস খাজা ভান্ডার রেশনের চাল প্রজাপতি মার্কা, নুরজাহান ব্র্যান্ড, আপেল ব্র্যান্ডেসহ বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যাÐের বস্তায় ভরে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য মোড়কজাত করা হয়। এছাড়া চালের ওজনেও কারচুপির প্রমাণ মেলে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে একাধিক ব্র্যান্ডের বস্তায় মোড়কজাত করে বিক্রির প্রমাণ মেলে। তার ভিত্তিতে মের্সাস খাজা ভান্ডারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা, মৌলিক সতর্কতাসহ লিখিত কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডে মোড়কজাতকৃত বস্তা নষ্ট করা হয়।