বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে খলিফা হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আমাদের মাঝে রাসূল (সা.) কে পথপ্রর্দশক হিসেবে প্রেরণ করেছেন এবং আমরা তাঁর উপর ঈমান এনেছি। আমরা সেই নবীর অনুসারী। আল্লাহ তায়ালা তাঁর মধ্যে আমাদের জন্য রেখেছেন উত্তম চরিত্র। উত্তম চরিত্রের একমাত্র অধিকারী মুহাম্মদ (স.)
নগরের বায়েজিদ থানাধীন সুলতানি মঞ্জিল মার্কেট প্রাঙ্গণে সীরাতুন্নবী (স.) মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগর জামায়াতের আমীর বলেন, রাসূল (স.) যেভাবে মসজিদে নববীতে নামাজের ইমামতি করেছেন ঠিক যুদ্ধের ময়দানে সেনাপতির দায়িত্ব পালনও করেছেন। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় আমাদের জন্য রেখে গেছেন মদিনার সনদ। রাজনীতি, অর্থনীতি, শ্রমনীতি, শাসন ব্যবস্থাসহ কোনো কিছুই বাদ পড়েনি। সকল বিষয়ে রাসূল (স.) আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। তাঁর দেখানো পথে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আর যারা রাসূলের জীবনী থেকে শুধু মসজিদের ইমামতি গ্রহণ করলো এবং রাষ্ট্রে ইসলামী আইন কায়েমের আন্দোলন থেকে বিমুখ হলো তারা রাসূল (স.) এর পরিপূর্ণ উত্তরসূরী হতে পারেন নি।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মাহ্ফিলে প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিএম মফিজুর রহমান আজহারী। প্রধান আলোচক ছিলেন চকবাজার নবাব আলি খাঁ জামে মসজিদের খতিব ড. মাহমুদুল হাসান। বিশেষ বক্তা ছিলেন বন্দরটিলা আলীশাহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন মাহবুব, বায়েজিদ থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা জাকির হোসেন, নায়েবে আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ফজলুল কাদের।মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইনের সঞ্চালনায় মাহ্ফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ আবুল মানসুর, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মজিবুর রহমান, মোস্তাক রেজা, আবুল খায়ের সিদ্দিক আলী, ডা. এস আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি