উচ্চমানের উচ্চশিক্ষার জন্য নিউজিল্যান্ড

298

 

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো নিউজিল্যান্ড। দেশটি মূলত নর্থ আইল্যান্ড ও সাউথ আইল্যান্ড নামে দু’টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। উচ্চশিক্ষার জন্য যারা বিদেশ যেতে চান তারা উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা ও সচ্ছল অর্থনীতির কারণে এখন বেছে নিচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ এই দেশটিকে। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড এখন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। তাই উচ্চশিক্ষায় আগ্রহীরা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য এখন নিউজিল্যান্ডেও যাচ্ছেন অনেকে।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহীরা ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, অনার্স, মাস্টার্স ডিগ্রি ও ডক্টরেট করার সুযোগ পাবেন নিউজিল্যান্ডে। দেশটিতে মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্স দুই বছরের এবং সাধারণত পিএইচডি কোর্স হয় তিন বছর মেয়াদী। প্রতি বছরের ফেব্রæয়ারি, জুলাই ও নভেম্বর এই তিন সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় নিউজিল্যান্ডে। তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় দুই সেমিস্টারে। নিউজিল্যান্ডে আছে আটটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর প্রতিটিই উচ্চশিক্ষা মানসম্পন্ন এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ^বিদ্যালয়গুলোর তালিকায় রয়েছে ভালো অবস্থানে। ২০১৬/১৭ সালে কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অভ অকল্যান্ড-এর অবস্থান ছিল ৮১তম, ইউনিভার্সিটি অভ ওটাগো ১৬৯তম। এ তালিকার শীর্ষস্থানীয় নিউজিল্যান্ডের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ম্যাসেই ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অভ ওয়েলিংটন, ইউনিভার্সিটি অভ ওয়াইকাতো, ইউনিভার্সিটি অভ ক্যান্টারবারি, লিংকন ইউনিভার্সিটি এবং অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অভ টেকনোলজি।
ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা: নিউজিল্যান্ডে রয়েছে তিনটি সরকারি ভাষা। এ ভাষাগুলো হলো ইংরেজি, মাওরি ও নিউজিল্যান্ড সাইন ল্যাংগুয়েজ। মাওরি সরকারি ভাষা হলেও ইংরেজির জনপ্রিয়তায় তা এখন প্রায় হারিয়ে যাওয়ার পথে। তাই এটিকে সংরক্ষণের অংশ হিসেবে স্কুল ও গণমাধ্যমে মাওরি এখন সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে। এজন্য তাদের ইংরেজি দক্ষতা নির্ধারণের পরীক্ষা আইইএলটিএস-এ ভালো স্কোর পেতে হবে। ব্যাচেলর ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৬ থাকতে হয়। মাস্টার্সে ভর্তির জন্য লাগে আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫।
উচ্চশিক্ষার বিষয়: নিউজিল্যান্ডে যেসব বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন সেগুলোর মধ্যে আছে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিউরিটি, মেডিসিন, হেলথ সায়েন্স, পদার্থবিদ্যা, গণিত, রসায়ন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফিন্যান্স, ইকোনমিক্স, মার্কেটিং, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, এগ্রিকালচার, ব্যবসায় প্রশাসন, একাউন্টিং, সোশ্যাল সায়েন্স, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফাইন আর্টস, ডিজাইন, আইন, মিউজিক, ল্যাঙ্গুয়েজ, ফার্মেসি, নার্সিং, আইন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ভেটেরিনারি, ফিজিওথেরাপি, মেডিকেল রেডিয়েশন থেরাপি, মেডিকেল ইমেজিং, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিসহ বিভিন্ন বিষয়।
দেশের অন্যতম প্রাচীন ইমিগ্রেশন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী ‘কাজী ইমিগ্রেশন এন্ড এডুকেশন’ এ পর্যন্ত অসংখ্য শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য সফলভাবে নিউজিল্যান্ডে পাঠিয়েছে। কাজী ইমিগ্রেশন এন্ড এডুকেশন ও এনপিএল-এর চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ইমিগ্রেশন এক্সপার্ট কাজী মো. আবদুর রহমান স্যার বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ক্রেডিট ট্রান্সফারের পাশাপাশি আছে বৃত্তি পাওয়ার সুযোগও। বৃত্তিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ, নিউজিল্যান্ড এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (এনজেডএআইডি) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ও এনজেডএআইডি স্টাডি এওয়ার্ড বৃত্তি ইত্যাদি।’
তিনি জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করারও সুযোগ আছে নিউজিল্যান্ডে। যদি কারো এক বছরের বেশি ভিসা থাকে তাহলে কাজ করার অনুমতির জন্য আবেদন করা যায়। তাছাড়া কোর্স চলাকালে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি থাকে সেদেশে। আবার ছুটির সময় কাজ করা যায় পুরো সময়টাই।
নিউজিল্যান্ড সহ অন্য যেকোনো উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহীরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন- কাজী ইমিগ্রেশন এন্ড এডুকেশন, ভিআইপি টাওয়ার, লেভেল-১, কাজীর দেউড়ি, চট্টগ্রাম। ফোন – ০১৭২৭২৮৬১১১। ই-মেইল: kaziimmigration@gmail.com ফেসবুক: www.facebook.com/kaziimmigration