উখিয়ায় তথ্য গোপন করে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তের অভিযোগ উঠেছে এক রোহিঙ্গা পরিবারের ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে আবুল আলম নামে স্থানীয় একব্যক্তি বাদী হয়ে ঢাকা, আগারগাঁও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি ৪নং ওয়ার্ডে।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর পূর্বে মিয়ানমার থেকে অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সাথে পালিয়ে আসে ফজল আহমদ। সে মিয়ানমারের রাখাইনের মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে। কিন্তু সে ক্যাম্পে আশ্রয় না নিয়ে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়ে পাতাবাড়ির একটি কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষকতায় শুরু করেন। সেই সুবাধে ওই এলাকার মৃত বইন্দা আলীর ছেলে মোজাহের মিয়ার কাগজপত্র দাখিল করে পরিচয় গোপন রেখে কয়েক বছর আগে হালনাগাদ ভোটার তালিকা নাম অন্তর্ভুক্ত করেন (যার ভোটার নং-২২১৭৭৯৮৮১৫৮৫)। পরবর্তীতে তার বোন আজিজা বেগম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন (ভোটার নং-২২১৭৭৯৮৮১৫৮৩), ভাই ছাবের আহমদ (ভোটার নং-২২১৭৭৯০০০০৫৮), ফারুক আহমদ ( ভোটার নং-২২১৭৭৯৮০৭৫৩২) কৌশলে মোজাহের মিয়ার খতিয়ান দাখিল করে ভোটার হয়। একই ভাবে ফজল আহমদ ছেলে ইদ্রিচ মিয়া, হারুন মিয়া, মুসা মিয়া, মো. ইশা সাইদী, মো. আমিন, মো. ইসমাইল, আরেফা বেগম এবং শাহানু বেগম ভোটার হয়। তবে এদের কেউ কেউ পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ভোটার হয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী স্থানীয় আবুল আলম জানায়, এরা সবাই মিয়ানামারের নাগরিক, তাদের কোন পূর্বপুরুষ বাংলাদেশে নেই। কিন্তু স্থানীয় মোজাহের মিয়ার ছেলে সেজে তথ্য গোপন করে ভোটার হয়ে যান। বর্তমানে তারা বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে এলাকার সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে। তাই তদন্ত সাপেক্ষে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফজল আহমদের সাথে অনেক চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বেদারুল ইসলাম বলেন, কোন রোহিঙ্গা যদি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।