উখিয়ায় গাড়ীর সিট পেতে মরিয়া যাত্রীরা

59

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে গত বছরের ২৫ আগস্টের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি এনজিও সংস্থার লোকজনের যাতায়াত বেড়ে যাওয়া পরিবহণের ক্ষেত্রে নানান বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। লোকজনের তুলনায় পরিবহণ সংখ্যা না বাড়ার কারনে প্রতিদিন অনেক কষ্টের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে এনজিও কর্মীদের। পাশাপাশি সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়া সী-লাইন ও কক্স-লাইন কাউন্ডারে দেখা গেছে অসংখ্য যাত্রীদের ভীড়। কক্সবাজারগামীর গাড়ির সিট যেন সোনার হরিণ হয়ে দাড়িয়েছে। কয়েকজন যাত্রীর নিকট থেকে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুক্তি এনজিও সংস্থার এক পুুরুষ কর্মী জানায়, প্রতিদিন ক্যাম্পে অফিস ছুটির পড়ে এধরনের যাত্রীর ভীড় জমায় উখিয়ার গাড়ীর কাউন্ডারে। একটি গাড়ীর সিট পেতে কয়েকজন ভীড় করে, এদের মধ্যে যে যাকে ডিঙ্গিয়ে গাড়ীতে উঠতে পারে সেই সিট পায়। তবে সে ক্ষেত্রে মহিলা কর্মীরা একটু দেরীতে গাড়ীতে উঠতে পারে বলে তার অভিমত। নুরুল আবছার নামের এক স্কুল শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, সে গত ৩দিন ধরে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেও এনজিও কর্মীদের ভীড়ের কারনে তার কক্সবাজার যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরিবহণ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি তার দাবি, প্রতিটি কক্স-লাইন, সী-লাইন গাড়ীতে স্থানীয়দের জন্য কয়েকটি সিট সংরক্ষিত করা হোক। অন্যথায় সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। পরিবহণ নেতারা জানিয়েছেন, বিশেষ করে বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকে যাত্রীদের ভীড় জমায়। কিন্তু দিনের অন্য সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়না। তাই সাধারণ যাত্রীরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনায়াসে যেখানে-সেখানে যাতায়াত করতে পারবে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিনা কারনে কোন যাত্রী হয়রানীর শিকার হলে তা খতিয়ে দেখা আমাদের দায়িত্ব। তবে যাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীতা থাকলে করার কিছু নেই। তবে এর সমাধান হচ্ছে গাড়ী সংখ্যা বাড়ানো।