কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর খুন ও ডাকাতির ঘটনায় মূলহোতা কুখ্যাত ডাকাত আহমদ শরিফ ও তার সহযোগী রেজাউল করিম গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। অভিযানে তাদের কাছ থেকে চারটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, একটি তাজা গুলি ও একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, গত ২৩ জুন রাত ৮ টার দিকে নিদানিয়া এলাকার মৃত নুরুল আমিন ও তার ভাই হাসান আলীর বাড়িতে মুখোশধারী ৭/৮ জন ডাকাত সশস্ত্র অবস্থায় ঢুকে পড়ে। পরিবারের নারী ও শিশুদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা নগদ ৯৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও একটি স্মার্টফোন লুট করে। এসময় বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা নুরুল আমিন ও তার ভাইকে মারধর করে এবং শরিফকে চিনে ফেলায় নুরুল আমিনকে গুলি করে হত্যা করে। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে ভিকটিমের স্ত্রী উখিয়া থানায় আহমদ শরিফসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে র্যাবের হাতে অভিযোগটি আসার পরপরই তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকা ডাকাতদের শনাক্ত করতে মাঠে নামে র্যাবের একাধিক টিম। একপর্যায়ে গতকাল রাতে র্যাব-১৫ এর একটি দল প্রধান আসামি শরিফ ও তার সহযোগী রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারদের মধ্যে আহমদ শরিফ ওরফে শরিফ্যা ডাকাত উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব নুরার ডেইল এলাকার ওমর মিয়ার ছেলে এবং তার সহযোগী রেজাউল করিম ওরফে বাবুল রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শরিফ পূর্বে ভিকটিমের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাবসহ নানাভাবে হয়রানি করত। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত নুরুল আমিন এসব বিষয়ে অবগত ছিলেন, যা পুরনো শত্রুতায় রূপ নেয়।
র্যাব জানায়, চাঞ্চল্যকর এই খুন ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।