ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙামাটি

7

এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি

এবারের ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙামাটির হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো। সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি সবুজ শ্যামল হ্রদ ও পাহাড় ঝর্ণা ঘেরা কি যে সুন্দর এই রাঙামাটি। রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ, সাজেক ভ্যালি ও কাপ্তাই নিসর্গ কটেজ রিসোর্ট এবং নেভি পিকনিক স্পট দেখে পর্যটকদের মন জুড়াবে। রাঙামাটি পর্যটক এলাকাগুলো ঘুরতে আপনাকে তেমন কষ্ট করতে হবে না। শহরের মধ্যে যে কোন একটি আবাসিক হোটেলে উঠলেই লোকেশান পেয়ে যাবেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, এবার কয়েক লক্ষ পর্যটক বরণে রাঙামাটি শহরের হোটেল মোডেলগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতি মধ্যে ৭০শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। এবার পর্যটকদের আগমণে রাঙামাটি হোটেল মোডেল ও রিসোর্টগুলো সর্বোচ্চ ৩০শতাংশ ছাড় দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। রাঙামাটি শহরের মধ্যে ছোট বড় ৬৫টি হোটেল ও ১৭টি ইকোরিসোর্ট এবং সর্বমোর্ট ১৩০টি রিসোর্ট রয়েছে। শুধু মাত্র সাজেক ভ্যালিতে রয়েছে একশতাধিক আধুনিক রিসোর্ট।
রাঙামাটি হলিডে কমপ্লেক্স এর ব্যবস্থাপক অলক বিকাশ চাকমা বলেন, পর্যটক বরণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ৭০শতাংশ রুম আগাম বুকিং দেওয়া হয়েছে। এবার ঈদে পর্যটকদের বিপুল পরিমান সারা পাওয়া যাবে। আশা করছি কয়েক লক্ষ পর্যটক আসবে রাঙামাটিতে। ইতিমধ্যে পর্যটক আগমনে সাজানো হয়েছে আমাদের হলিডে কমপ্লেক্স। ঈদে পর্যটন খ্যাতে হোটেল মোডেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়িদের ব্যবসা ভাল হবে।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি ও বড়াদম মৌজার হেডম্যান দীপংকর দেওয়ান বলেন, ঈদে পর্যটক বরণে আমরা ৩০শতাংশ ছাড় দিয়ে হোটেলে রুম বুকিং দিচ্ছি। এছাড়াও রাঙামাটি প্রযুক্তি বিশ^ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা,রাঙামাটি সরকারি কলেজে অনার্স ভর্তি পরীক্ষাসহ সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায়ও ছাড় দিয়ে থাকি। অন্যান্য জেলার চেয়ে রাঙামাটি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভাল। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এবং অন্যান্য বড় বড় সংস্থাগুলো যদি পর্যটক নগরীর প্রতি সুনজর দেয় তাহলে রাঙামাটি পর্যটক শিল্প আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম বার বলেন,এই ঈদে পর্যটক বরণে রাঙামাটির আইনশৃঙ্খলা জোরদার রাখা হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য টুরিস্ট পুলিশও ঈদে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। ঈদ ও বিজুতে জেলা পুলিশ বাড়তি নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে আবাসিক হোটেল,মোডেল,রেস্তোরা,বোট ও লঞ্চ,সিএনজি ,বাস মালিকরাও পর্যটক বরণে সহায়তা করবেন।
দোয়েল চত্বর এলাকার ইফশা আবাসিক হোটেল ম্যানেজার রবিউল হোসেন রবি বলেন, আমাদের হোটেলে ৮০শতাংশ রুম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। যদি পরিবেশ পরিস্থিতি ও আওহাওয়া ভাল থাকে তাহলে প্রচুর পর্যটকের আমগন আশা করছি। প্রতি বছর ঈদে রাঙামাটিতে পর্যটকদের ঢল নামে এবারও তাই আশা করছি।
সাজেকের হাতংটং রিসোর্টের মালিক অচিন্ত্য ত্রিপুরা জানান, সাজেকে প্রায় সবকটি কটেজ ও রিসোর্টে শতভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। আমার রিসোর্টে ১২,১৩ ও ১৪ এপ্রিল শতভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং করা আছে। সাজেকে এবার ঈদে পর্যটকের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে।