চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সম্মুখস্থ মাঠে সকাল ৯ টায় আদায়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এতে ঈমামতি করবেন নগরীর বায়তুশশরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপ্যাল হযরত মাওলানা অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান। বিকল্প ইমাম থাকবেন মুফতী মুহাম্মদ নুরুন্নবী। কমিটির আওতাভুক্ত নগরীর অপর ৯৪টি আঞ্চলিক ঈদগাঁসমূহের ঈদুল ফিতরের নামাজের সময়সূচি স্থানীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে হবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ ও আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রস্তুতি ও বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন পেশকালে কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম বলেন, মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় দুইটি পর্ব, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ, নগরীর গরীব ও এতিম ছাত্রদের মাঝে প্রতি বছর ঈদের নতুন বস্ত্র বিতরণ, অসহায় দুঃস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে সেলাই মেশিন বিতরণসহ নানামুখী সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে এই সংগঠন। তিনি সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কমিটির স্থায়ী কোনো অফিস নেই, ইতোপূর্বে ঈদ জামাত কমিটির জায়নামাজ, কার্পেট ইত্যাদি সামগ্রী রাখার জন্য সিজেকেএস এর ভবনে আপাতত অস্থায়ীভাবে একটি কক্ষ রাখলেও স্থায়ীভাবে অফিসিয়ালি কোনো বরাদ্দপত্র প্রদান করা হয়নি। ঈদ জামাত কমিটির মালামাল রাখার জন্য সিজেকেএস ভবনের একটি কক্ষ এবং অফিস হিসেবে একটি কক্ষ স্থায়ীভাবে বরাদ্দ প্রদান করা জরুরি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে গরীব দুঃস্থ নারীদের সাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ ও মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের নতুন কাপড় বিতরণসহ মহৎ কাজে চট্টগ্রামের ধণাঢ্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। নামাজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, অতীতের মত নামাজের সার্বিক ব্যবস্থাপনা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষ হতে করা হবে। ঈদ জামাত কমিটির জন্য অফিসিয়ালী স্থায়ীভাবে সিজেকেএস ভবনে ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিমের সঞ্চালনায় সভায় ট্রেজারার সালেহ আহমেদ সুলেমান গত ঈদুল আযহার আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী পেশ করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহজাদা এনায়েত উল্ল্যাহ খান, অ্যাড. মাহাবুব উদ্দীন আহম্মদ, সালেহ আহমেদ সুলেমান, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, ডা. আকতার হোসেন ভুট্টো, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন টিএম মাহবুব, অ্যাড. গাজী মো. মেজবাহ উদ্দন, অ্যাড. ডা. মো. ছমি উদ্দিন, ডা. এসএম রবিউল হোসাইন, মো. ইকবাল হায়দার, কাজী মো. আশেকে এলাহী, ডা. মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মো. সুমন, ওজাইরুল্লাহ, শাহজাদা মারুফ, মো. জিশানন, মো. সাঈদ চৌধুরী, মো. মতাহার, মো. আবরার, মো. তাওহিদুল ইসলাম, মো. উমর ফারুক, মো. তাওসীফ, মৌ. আবদুল মাবুদ চৌধুরী, জামাল উদ্দীন সিকদার, মুফতী মুহাম্মদ নূরুন্নবী, মাওলানা মো. আব্দুর রশীদ, মো. আমহুরাইবা আদনান, মাওলানা মো. আব্দুল মোমেন, মো. মোস্তফা, মৌলভী জোবাইর, মো. জুনাইদ, শামস মো. জিয়াউল হক, ডা. এমএ ফজল, মো. এরশাদ মিয়া, মো. সাইদুল আজাদ, মো. সিরাজুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ, ওবাইদুল্লা, মো. শফিক, মো. সাজারুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি