চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া চুনতির খানদিঘি এলাকা থেকে প্রাইভেট কারের ভেতর লুকিয়ে রাখা ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় তিন আসামিকে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে এক আসামিকে দশ বছর ও বাকি দুই আসামিকে আট বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি আব্দুল মজিদের আদালত এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আরিফুল ইসলাম (২৭), মো. ফরিদুল আলম (২১) ও গাড়ি চালক রুহুল আমিন। এরমধ্যে আরিফুল ইসলামকে দশ বছর ও বাকি দুইজনকে আট বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ফরিদুল আলম ও গাড়ি চালক রুহুল আমিন বর্তমানে জেলে আছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২১এপ্রিল কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি সাদা প্রাইভেট কারের সামনের বাম্পারের ভেতর পাঁচটি বান্ডিলে লুকিয়ে রাখা পাঁচ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এই ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় গাড়ি মালিক আরিফুল ইসলাম (২৭), মো. ফরিদুল আলম (২১) ও গাড়ি চালক রুহুল আমিন (৩০) আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
আদালতের অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, ২০১৮ সালে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ১৬জন সাক্ষীর মধ্যে দশজন সাক্ষ্যপ্রদান করেছেন। ২৪২ ধারায় তিনজন আসামির মধ্যে একজনকে দশ বছর ও বাকি দুইজনকে আট বছর জেল দিয়েছে আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। টেকনাফের বাসিন্দা ফরিদুল আলমের কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে ফেরার পথে গাড়ি মালিক আরিফুল ইসলাম ও চালক রুহুল আমিন গ্রেপ্তার হন। এমরধ্যে আরিফ উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে এখন পলাতক।