ইস্পাহানি চট্টগ্রাম মাস্টার্স টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হাক্কানি ও সিএম গোল্ডের জয়

1

চট্টগ্রাম ক্রিকেট আম্পায়ার্স অ্যান্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ইস্পাহানি চট্টগ্রাম মাস্টার্স টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাব ২৪ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম লিজেন্ডসকে। দ্বিতীয় ম্যাচে সিএম গোল্ড ৬ উইকেটে হারিয়েছে ত্রিপল এস মাস্টার্সকে। গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে সকালের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাব ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৩৮ রান। তাদের ইনিংসের শুরুটা মাত্র ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দলটি। তবে চতুর্থ উইকেটে দলীয় অধিনায়ক হাসানুজ্জামান মাসুদ মাসুদ খেলেন ২৫ রানের মূল্যবান ইনিংস, যদিও তাকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। তবে শেষ দিকে মাত্র ২৯ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৩৮ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায় হাক্কানী।
চট্টগ্রাম লিজেন্ডসের হয়ে বেলাল, ইমতিয়াজ ও আজাদ প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম লিজেন্ডসের ইনিংস থেমে যায় ১০৬ রানে। ইনিংসের প্রথম ৫ উইকেটের মধ্যে চারটিই পড়ে ৬৩ রানের মধ্যে। একপ্রান্তে চেষ্টা চালিয়ে কাজী নাজমুল আলম করেন সর্বোচ্চ ২৬ রান। শেষদিকে রাশেদ খান ১২ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেললেও হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পারেন। হাক্কানীর হয়ে শামিউল মাহমুদ ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। মোজাম্মেল রবিন, আনসার উদ্দিন এবং সুলতান আমিন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন হাক্কানীর তানিম। তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন ফোর এইচ গ্রæপের এজিএম এম. তারেকুল হক।
২য় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাট হাতে বড় ধাক্কা খায় ত্রিপল এস মাস্টার্স। মাত্র ১৭.৪ ওভারে ৮৯ রানে গুটিয়ে যায় পুরো দল। সিএম গোল্ডের বোলার রাজিব ছিলেন বিধ্বংসী। মাত্র ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করেন তিনি। এ ছাড়া ইদে আমিনও নেন ৩ উইকেট। ত্রিপল এসের নজরুল ইসলাম ২২ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। রাজেশ দাস, শাহ পরান ও আব্দুল আহাদরা কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।
মাত্র ৯০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো চাপ নেয়নি সিএম গোল্ড। ওয়ান ডাউনে নামা হাফিজুর রহমান ৩৫ রানে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছয়। ওপেনার সাগর আজম করেন ১০ রান। মাঝখানে ইফতেখার ওয়াজির অপরাজিত ১৭ ও আশরাফুলের ১১ রানে ভর করে ১৭.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিএম গোল্ড। ম্যাচসেরা রাজিবের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন সাবেক ক্রিকেটার ও চিটাগাং ক্লাবের চেয়ারম্যান শোভন এম শাহাবুদ্দিন রাজ।